এই সময় জেলের বাহিরে স্যার তেজ বাহাদুর সাপ্রু যাহাতে কংগ্রেসের সহিত গভর্ণমেণ্টের একটা আপোষনিষ্পত্তি হইয়া যায়, তাহার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছিলেন। কংগ্রেসপক্ষের তখন অধিকাংশ নেতাই কারাগারে। স্যার তেজ-বাহাদুর এবং মিঃ জয়াকর বড়লাটের নিকট অনুমতি লইয়া কারাগারের মধ্যেই কংগ্রেস-নেতাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করিতেছিলেন। হঠাৎ গান্ধীজির নিকট হইতে এক পত্র পাইয়া তাঁহারা দুইজনে নয়নী-জেলে কারারুদ্ধ পিতা পুত্রের নিকট উপস্থিত হইলেন।
দুইদিন ধরিয়া বহু বাদানুবাদের পর জওহরলাল জানাইলেন যে, মহাত্মা গান্ধী এবং ওয়ার্কিং-কমিটির সদস্যদের সহিত পরামর্শ না করিয়া তাঁহারা কোন কথাই দিতে পারেন না। সুতরাং স্যার তেজ বাহাদুর এবং মিঃ জয়াকরকে ফিরিয়া যাইতে হইল। ফিরিয়া গিয়া তাঁহারা বড়লাটের মত করাইলেন, যাহাতে যারবাদা জেলে, অবরুদ্ধ কংগ্রেস নেতারা গান্ধীজির সহিত মিলিত হইতে পারেন—
মহাত্মা গান্ধী তখন যারবাদা জেলে বাস করিতেছিলেন, ভারতের বিভিন্ন কারাগার হইতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যগণ স্পেশাল ট্রেণে সকলে আসিয়া যারবাদা জেলে সম্মিলিত হইলেন। জেলের ভিতরেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বসিল! তিনদিন