বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
৮৫

হইয়াই শুনিলেন যে, কমলা কারাগারে—এবং পিতা মৃত্যুশয্যায়। তাড়াতাড়ি তিনি পিতার মৃত্যুশয্যার পাশে চলিয়া আসিলেন। শেষ-শয্যায় শায়িত সেই গৌরব-সূর্য্যের দিকে চাহিয়া জওহরলাল বুঝিলেন, তাঁহার মুখে-চোখে বিদায়-গোধুলির আলো আসিয়া পড়িতেছে—জীবনের প্রথম দিন হইতে সেদিন পর্য্যন্ত যে-পিতা বন্ধুর মত— সহচরের মত—জীবনের পাশে পাশে তাঁহাকে লইয়া চলিয়াছেন—মৃত্যুর গহন পথে যে পিতার সহিত পুত্র এক অপূর্ব্ব মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ— জীবনসংগ্রামের সেই শ্রেষ্ঠ সহচর তাঁহার জীবন হইতে চলিয়া যাইবেন—এই বেদনায় জওহরলালের সংযমী চিত্তও বেদনায় ভরিয়া উঠিল—সর্ব্বকাজ পরিত্যাগ করিয়া তিনি পিতার শেষ-শয্যার পাশে জাগিয়া উঠিলেন—

 মহাত্মা গান্ধী এবং সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সমস্ত বিশিষ্ট নেতা তখন আনন্দভবনে সমবেত হইয়াছেন— রণক্লান্ত সেনাপতির শেষ-শয্যাকে ঘিরিয়া তাঁহারা আজ সকলে উপস্থিত—দুঃখের কথা নয়—বিদায়ের কথা নয়-দেশের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আসন্ন কর্ত্তব্য লইয়া তাঁহারা আলোচনা করিতেছেন— শেষ-শয্যায় শুইয়া পণ্ডিত মতিলাল তাহা শুনিতেছেন— জীবনের শেষমুহূর্ত্ত পর্যন্ত দেশের কাজে সকলের সঙ্গে তাঁহারও কাজের অংশ থাকিবে—