শেষকালে এমন সময় আসিল যখন আর শ্রবণে কিছুই প্রবেশ করিতে চাহিল না - পাশের ঘরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আলোচনা চলিতে লাগিল। পণ্ডিত মতিলাল গান্ধীজীকে ডাকিয়া বলিলেন— “মহাত্মাজী, আমার যাবার সময় হয়ে এসেছে, চল্লাম বড় দুঃখ, স্বাধীন ভারত দেখে যেতে পারলাম না, তবে এই আশ্বাস নিয়ে চল্লাম, আপনি তা অর্জন কর্বেনই, হয়ত আপনি তা অর্জন করেছেন! ”
দেশের নিকট, জাতির নিকট এই তাঁহার শেষবাণী!
৬ই ফেব্রুয়ারী সকালবেলা পিতার শয্যার পাশে সারারাত জাগিয়া বসিয়া আছেন— সারা রাত্রি বড় অস্থিরতায় কাটিয়াছে—প্রভাতে তিনি ঘুমাইয়া পড়িলেন—জওহরলাল দেখিলেন, সারারাত্রির ক্লান্তির পর প্রভাতের সেই নিদ্রায় মুখের রেখাগুলি বহুদিন পরে আবার প্রশান্ত হইয়া আসিয়াছে। সেই প্রশান্ত মুখের দিকে চাহিয়া তিনি আনন্দিত হইয়া উঠিলেন। সহসা জননীর চিৎকারে তিনি চমকাইয়া উঠিলেন! তিনি যাহা বুঝিতে পারেন নাই, নারী সহজেই তাহা বুঝিয়াছিলেন।
রণক্লান্ত বীর সত্যই ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলেন, তবে সে নিদ্রার আর জাগরণ হইবে না।