বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
৮৭

 গান্ধীজি আনন্দ-ভবনে রহিয়া গেলেন। বন্ধুহীন সেই শূন্যদিনে গান্ধীজি জওহরলালের পাশে থাকিয়া, যেভাবে তাঁহার পিতার স্থান পূরণ করিয়াছিলেন, জওহরলালের জীবনে তাহা চিরদিনের জন্য গাঁথিয়া গেল—সমস্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের বাহিরে, লোকচক্ষুর অন্তরালে সেদিন তাহাদের দুজনের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়িয়া উঠিয়াছিল, জওহরলাল তাঁহার আত্মচরিতে অপূর্ব্ব ভাষায় তাহার যে বর্ণ‌না দিয়াছেন, প্রত্যেক মানুষের মনকে তাহা স্পর্শ করিবে।


সতের

 বহুদিনের বহু পরিশ্রমের ফলে জওহরলালের স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া পড়িল। ডাক্তারেরা বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন— কারাগারে গিয়া বিশ্রাম নয়-কারাগারের বাহিরে বিশ্রাম— ভারতের বাহিরে এবং ভারতের নিকটেই সিংহলেই বিশ্রামের জন্য যাওয়ার ব্যবস্থা হইল। প্রিয় কন্যা ইন্দিরাকে সঙ্গে লইয়া সস্ত্রীক তিনি সিংহলে যাত্রা করিলেন। সিংহল হইতে ফিরিবার পথে ট্রাভানকোর, কোচিন, মহীশূর, মালাবার, হায়দ্রাবাদ প্রভৃতি নেটিভ ষ্টেট পরিভ্রমণ করিয়া তিনি আবার এলাহাবাদে ফিরিয়া আসিলেন।