এলাহাবাদে ফিরিয়া আসিয়া জওহরলাল যুক্তপ্রদেশের কৃষাণদের ব্যাপার লইয়া কাজে নামিলেন। রাজনৈতিক দিক হইতে তখন কংগ্রেসের পক্ষ হইতে প্রায় সব আন্দোলনই বন্ধ রাখা হইয়াছিল, কারণ বিলাতে তখন রাউণ্ড টেবিল কনফারেন্সের অধিবেশন চলিতেছিল। কংগ্রেসের প্রতিনিধিরূপে গান্ধীজি উক্ত কন্ফারেন্স যোগদান করেন। সুতরাং গান্ধীজির ফিরিয়া আসা পর্যন্ত কংগ্রেসের আন্দোলন এক রকম বন্ধই ছিল। দিল্লীতে লর্ড আরউঈনের সহিত গান্ধীজির সেই মর্ম্মে,চুক্তি হইয়াছিল।
বহুদিন হইতে দুইটী দেশ বিশেষভাবে জওহরলালকে আকর্ষণ করিতেছিল, একটী হইল, উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, তার একটী হইল বাংলা দেশ। ১৯৩১ সালের শেষের দিকে জওহরলাল বাংলা দেশে আসেন। কিন্তু বাংলা দেশের রাজনীতি তখন দুই পরস্পর বিরোধী দলের পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমন কুৎসিৎ হইয়া উঠিয়াছিল যে, তাহার মধ্যে কাহারও কিছু করা সম্ভব নয়। জওহরলাল দেখিলেন তাঁহ'র মধ্যস্থতায় কোন উপকার হইবে না, তাই বাংলা দেশে আসিয়া সভা সমিতি করিয়া, লোকজনের সঙ্গে দেখা করিয়া তিনি ফিরিয়া গেলেন।
তখন যুক্ত প্রদেশের কৃষাণ আন্দোলনকে দমন করিবার জন্য সরকার রুদ্রনীতি অবলম্বন করিল।