পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 مياه ] সপ্তদশ অধ্যায় । ধৰ্ম্ম-সংস্কার। পুৰাকালে লোকে প্রচলিত ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করা পাপ জ্ঞান করিত। গ্রীকের মূতনধর্মপ্রচারের অপরাধে উছিাদের বিখ্যাত তত্ত্ববিৎ সক্রেটিসের প্রাণ বধ করিয়াছিলেন। যখন রোমকদিগের মধ্যে মূক্তন খৃষ্টধর্মের প্রচার আরম্ভ হয়, রোমকের নূতনধর্মাবলম্বদিগকে তাড়না করিতে ক্ৰটি করেন নাই। যাহারা প্রাচীন দেবতাদিগের নিকট বলি প্রদান করিতে অস্বীকার করিত, রোমকের তাহাদিগের প্রাণনাশ করিতেও সঙ্কুচিত হইতেন না । গারোজাতির মধ্যে যদি কেছ পূর্বপুরুষদিগের আচার পরিত্যাগ করে, গারোরা তাছাকে বধ করিয়া খাইয় ফেলে। ভারতবর্ষে অদ্যাপি আরও অনেক জাতি আছে যাহার নূতনমতাবলম্বীদিগকে বিশেষ তাড়ন করিয়া থাকে। মুসলমানেরা ইহা অপেক্ষাও নিৰ্ব্বোধ ও নিষ্ঠুৰ । ইছারা মহম্মদীয়ধৰ্ম্মপরিত্যাগীদিগকেই কেবল শাত্তি প্রদান করিত না ; যে সকল জাতি স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগপূর্বক মহম্মদীয়ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিতে অস্বীকার করিত তাহাদিগেরও উন্মলনে কৃতসংকল্প হইত। কাফের অর্থাৎ ভিন্নধৰ্ম্মাবলম্বীদিগকে বধ করা মহম্মদীয়ধর্মের একট প্রধান অঙ্গ। সাধ্যমত মুসলমানের মহম্মদীয় ধর্মের এই নিয়মটা পরিত্যাগ করে নাই। মুসলমানদের দিগ্বিজয়ের সময় বিজিত জাতিদের মৃত্যু অথবা মহম্মদীয়ধৰ্ম্মস্বীকার ভিন্ন গত্যন্তর ছিল না। তামস-যুগে ইউরোপীয়ের এই বিষয়ে গ্রীক ও রোমকদিগের অপেক্ষা উন্নতি লাভ করেন নাই । খৃষ্টধর্মে অবিশ্বাসীদিগকে ইহার পোড়াইয় অথবা অন্য কোন নিষ্ঠুর উপায়ে বধ করিতেন। ইউরোপের খৃষ্টীয়ানজাতিদের মধ্যে পাদরিতেশ্রণীর ক্ষমতা ক্রমেই বুদ্ধি হইতে লাগিল। ধৰ্ম্মসম্বন্ধে কাহারও মত পাদরিদের মতের বিরোধী হইতে পারিত না ; যদি ছইত তাহ হইলে তাহাকে সমধিক উৎপীড়ন সহ্য করিতে — এমন কি প্রাণপৰ্য্যন্ত ছারাইতে হইত। এইরূপে তামল-যুগে লোকের হৃদয়ের স্বাধীনতা একবারে নষ্ট হয়। ধৰ্ম্মসম্বন্ধে পাদরিরা যাছা বলিতেন তাহাই বিশ্বাস । করিতে হইত। এই সময়ে ধৰ্ম্মই সকল বিষয়ের প্রধান অঙ্গ ছিল ; সুতরাং লোকে কোন বিষয়েই স্বাধীনরপে চিন্তা করিতে পারিত না। পাদরিরা আপনাদের ক্ষমতা রক্ষার্থে এতদূর উৎসুক হইয়াছিলেন যে ইহার অবশেষে এই নিয়ম করিলেন যে পাদরি ব্যতীত আর কেহই খৃষ্টধৰ্ম্ম-পুস্তক বাইবেল পাঠ করিতে পারবেন না। বাইবেল পাঠ করিয়া লোকে আপনাদের মতানুযায়ী ব্যাখ্যা করিবে এই আশঙ্কাপরবশ হইয় পাদরিরা এই নিয়ম প্রচার করেন। পাদরির বাছ বলতেন তাহ ব্যতীত বাইবেলের অন্য কোন অংশ লোকে জানিতে পারিত না। ইহার