পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8७ ] প্রথমে নিশ্চিতরূপে ধাৰ্য্য হয় নাই। কিন্তু ইহার ক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি হইতে লাগিল—এমন কি অনেক সময়ে মহারাজ্ঞী এলিজেবেথও তাছার প্রজাদিগের সাধারণ-সভার ইচ্ছামতে কাৰ্য্য করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। দেশের যতগুলি লোক একস্থানে সমবেত হইত তাহীদের সেই একত্র সমাগমকেই অতি পুরাকালে প্রজাদিগের সাধারণ-সভা বলিত। কিন্তু কোন বৃহৎ জাতির সকল লোকে এইরূপে একত্র সমবেত হইয়া মত দিতে পারিত না, সুতরাং প্রতিনিধিসভার সৃষ্টি হইল। প্রত্যেক নগর এবং প্রত্যেক জেলার লোকেরা আপনাদের প্রতিনিধিস্বরূপ এক ২ জন ব্যক্তি মনোনীত করিয়া এই সভায় প্রেরণ করে, এবং এই প্রতিনিধির একত্র সমবেত হইয়া স্ব ২ মত প্রকাশদ্বারা সকল বিষয় ধাৰ্য্য করেন। অদ্যাপিও ইংলণ্ডের জাতি-সাধারণ-সভা এইরূপে সমাহুত হইয়া থাকে। বর্তমানযুগের প্রারম্ভে ইউরোপে অার একটা মহৎ পরিবর্তন লক্ষিত হয়। যুদ্ধের সময় রাজার অনুসরণ করা ভূম্যধিকারীদের পক্ষে অসুবিধা হইয়া উঠিল। তাহার স্বয়ং যুদ্ধে না যাইয়া তৎপরিবর্তে রাজাকে কিঞ্চিৎ অর্থ প্রদান করিতেন। এই অর্থ দিয়া রাজা বেতনভোগী সৈনিকদিগকে নিযুক্ত করিতেন। ইহাদূের शूकरे ব্যবসায় ছিল এবং ইহার অর্থের জন্য যাবজ্জীবন যুদ্ধ করিতে প্রস্তুত ছিল। এইরূপে ভূমির উপর কর ধার্য হইল ; ইছাই প্রথম কর। সৈনিকদিগের ভরণপোষণ ব্যতীত এই অর্থ অন্যান্য অনেক বিষয়ে ব্যয়িত হুইত । বিচারপতিদিগের বেতন, সাধারণহিতার্থে অন্যান্য ব্যয় এবং রাজাদিগের নিজব্যয় সমুদায়ই এই অর্থ হইতে সঙ্কলন করিতে হইত। নৃপতিগণ মিতব্যয়ী ছিলেন না ; সুতরাং শীঘ্রই তাহাদিগের অধিক অর্থের প্রয়োজন হইল, এবং ভূমিকর ব্যতীত অন্যান্য নানা প্রকার নূতন কর সৃষ্টি করিতে লাগিলেন। 4. ফুন্সে রাজার ক্ষমত এতদুর বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, তিনি যে কর ইচ্ছা প্রজাবর্গের উপর সংস্থাপন করিতে পারিতেন। জাৰ্ম্মণির ক্ষুদ্র ২ রাজারাও এইরূপ করিতে পারিতেন। কিন্তু ইংলণ্ডে জাতি-সাধারণ-সভা বহুকাল ছইতে বলিয়া আসিতেছিল যে, তাছাদের মত ভিন্ন রাজ কোন কর সংস্থাপন করিতে পারেন না । রাজারা দেখিলেন যে যদি জাতি-সাধারণ-সভার স্বেচ্ছামত রাজাকে অধিক কিংবা অল্প অর্থ দিবার অধিকার থাকে, তাছা হইলে রাজার ক্ষমতা শীঘ্রই হ্রাস হইবে ; এদিকে জাতি-সাধারণ-সভা দেখিলেন যে রাজার। যদি স্বেচ্ছমত ও স্বক্ষমতায় কর সংস্থাপন করিতে পারেন তাহা হুইলে তাছার শীঘ্রই যথেচ্ছাচারী নরপতি ছইর উঠবেন। এইরূপে ইংলণ্ডে বহুকাল হইতে রাজা ও জাতি-সাধারণ-সভার মধ্যে মহা বিরোধ হইয়া আসিতেছিলঃ অবশেষে ইংলণ্ডেশ্বর চার্ল ও জাহার জাক্তি-সাধারণ-সভা পরস্পর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। এই যুদ্ধকে ইংলণ্ডের স্বল্পর্ক্সেৰ