لا ذميا } হইত। প্রথম নেপোলিযন এক বৎসরে একটা জাতিকে জয় করিতে পারিতেন। কিন্তু ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে জার্মণের ফরাসিদিগকে কয়েক সপ্তাহ মধ্যে পরাস্ত করে। জাৰ্ম্মণদিগের সৈন্যশিক্ষার একটা সুন্দর প্রণালী অাছে। এই প্রণালী অনুসারে দুই এক বৎসরেব মধ্যেই জাৰ্ম্মণ যুবকের যুদ্ধ কৌশল শিখিতে পারে। যুদ্ধ উপস্থিত হইলে ইহাদের অনেকে বিষয় কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া একত্র মিলিত হয়, এবং শত্রুরা প্রস্তত হইবার পূৰ্ব্বে লৌহবত্ব যোগে তাম্বাদিগের রাজ্যে প্রবেশ করে। বিপক্ষ রাজ্য নিকট হইলেই এই প্রণালী বিশেষ কার্ষ্যকর হয । এক্ষণকার যুদ্ধের সময় সৈন্যদিগের খাদ্যসামগ্রীর আযোজন করিবার নিমিত্ত অনেকগুলি লোকের স্বদেশে থাকা আবশ্যক । ফরাসি এবং জাৰ্ম্মণদিগের মধ্যে এই অপকালস্থায়ী যুদ্ধ হইতেই জানা গিয়াছে যে এত মছভী জাৰ্ম্মণ সেনা সমর ক্ষেত্রে এক বৎসর কাল থাকিলে জাৰ্ম্মণি একান্ত অবসন্ন হইয়া পড়িত । ত্রয়শচত্বারি^শ অধ্যায় । প্রতিনিধি দ্বারা রাজ্য শাসন। ইংলণ্ডের অনুকরণে ইউরোপেব প্রধান ২ দেশ সকল এক্ষণে কর আদায় এবং রাজস্ব বাষের ভার প্রজা-প্রতিনিধি-সভার হস্তে সমপণ করিয়াছে। ইউরোপের রাজ্য সকলে শাসনপ্রণালীগত অনেক বৈলক্ষণ্য দুষ্ট হয ; কোথাও বা সম্রাট কোথাও বা রাজা আছে, এবং কোন ২ দেশে রাজা বা সম্রাট কিছুই নাই। কিন্তু কর আদায় ও রাজস্ব ব্যয় করিবার ক্ষমতা করদাতাদিগের হস্তে রছিয়াছে বলিয়া রাজা থাকায় আর না থাকায় অধিক প্রভেদ লক্ষিত ক্ষয় না । এরূপ দেশ বাস্তবিকই স্বাধীন। ক্ৰান্স, ইতালি, জাৰ্ম্মণি ও অষ্ট্রিয় এই কয়েকট দেশে রীতিমত প্রতিনিধি-সভা আছে। এই সভার কর আদায় ও রাজস্ব ব্যয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ স্বাধীনত দেখিতে পাওয়া যায়। রুসিয়ার সম্রাট নামে স্বেচ্ছাচারী, কিন্তু বস্তুতঃ প্রজাদিগের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কর আদায় করিবার তাহার ক্ষমতা নাই । তিনি আপনার আমোদ প্রমোদের জন্য সমুদায় রাজস্ব ব্যয় করিতে পারেন না, সাধারণের ছিতের জন্য তাহার অধিকাংশ ব্যয় করিতে হয়। ইউরোপের অন্যান্য দেশ অপেক্ষ ইংলণ্ডে এরূপ শাসনপ্রণালী বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছে। প্রায় দুই শত বৎসর ছইল জাক্তিসাধারণ-সভার উপর রাজস্বের অীয়ব্যয়নির্ধারণের ভার অপিও ইয়াছে। কিন্তু অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে এই প্রণালীটী আধুনিক বলিতে জুইৰে । مجتمع-جامعجeحجم
