অধ্য আদর্শ ও গুণত্রয় এক কথায় যাহা নিশ্চেষ্টতার পরিপোষক তাহাই | জড়তা ও অপ্রবৃত্তি অজ্ঞানের ফল, উত্তেজনা ও কুপ্রবৃত্তি ভ্রান্তজ্ঞানসম্ভত । কিন্তু তমোমালিন্য অপনোদন করিতে হইলে রজোগুণের উদ্রেক দ্বারাই তাহা দূর করিতে হয়। রজোগুণই প্রবৃত্তির কারণ এবং প্রবৃত্তিই নিবৃত্তির প্রথম সোপান। যে জড়, সে নিবৃত্ত নয়,—জড়ভাব জ্ঞানশূন্য ; আর জ্ঞানই নিবৃত্তির মার্গ। কামনাশূন্য হইয়া যে কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হয়, সে নিবৃত্ত ; কৰ্ম্মত্যাগ নিবৃত্তি নয় । সেই জন্য ভারতের ঘোর তামসিক অবস্থা দেখিয়া স্বামী বিবেকানন্দ বলিতেন, “রজোগুণ চাই, দেশে কৰ্ম্মবীর চাই, প্রবৃত্তির প্রচণ্ড স্রোত বহক। তাহাতে যদি পাপও আসিয়া পড়ে, তাহাও এই তামসিক নিশ্চেষ্টতা অপেক্ষা সহস্র গুণে उांव्त !' সত্যই আমরা ঘোর তমোমধ্যে নিমগু হইয়া সত্ত্বগুণের এই মত দেখিতে পাই যে, আমরা সাত্ত্বিক বলিয়াই রাজসিক জাতিসকল দ্বার। পরাজিত, সাত্ত্বিক বলিয়া এইরূপ অবনত ও অধ:পতিত। তাহারা এই যুক্তি দেখাইয়৷ খৃষ্টধৰ্ম্ম হইতে হিন্দুধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠতা প্রতিপন্ন করিতে সচেষ্ট । খৃষ্টানজাতি প্রত্যক্ষ