অর্থ্য অাদশ ও গুণত্রয় নিশ্চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে দেশের দুর্দশ অবনতিও বদ্ধিত হইতে লাগিল। এই মেঘ প্রথমে লঘু ও বিরল ছিল, কালের গতিতে ক্রমশ: এতদূর নিবিড়তর হইয়া পড়িল, অজ্ঞান অন্ধকারে ডুবিয়া আমরা এমন নিশ্চেষ্ট ও মহদাকাঙ্ক্ষাবজিত হইয়া পড়িলাম যে, ভগবৎপ্রেরিত মহাপুরুষগণের উদয়েও সেই অন্ধকার পূর্ণ তিরোহিত হইল না। তখন সূৰ্য্য-ভগবান রজোগুণজনিত প্রবৃত্তি দ্বার দেশরক্ষার সঙ্কলপ করিলেন । জাগ্রত রজ:শক্তি প্রচণ্ডভালে কাৰ্য্যকরী হইলে তম: পলায়নোদ্যত হয় বটে কিন্তু অন্যদিকে স্বেচছাচার, কুপ্রবৃত্তি ও উদাম উচছুঙ্খলতা প্রভূতি আস্থরিক ভাব আসিবার আশঙ্কা। রজঃশক্তি যদি স্ব স্ব প্রেরণায় উনমত্ততার বিশাল প্রবৃত্তির উদরপূরণকেই লক্ষ্য করিয়া কাৰ্য্য করে, তাহ হইলে এই আশঙ্কার যথেষ্ট কারণও আছে। রজোগুণ উচছুঙ্খলভাবে স্বপথগামী হইলে অধিককাল টিকিতে পারে না, ক্লাস্তি আসে, তম: আসে, প্রচণ্ড ঝটিকার পরে আকাশ নিৰ্ম্মল পরিকার না হইয়া মেঘাচছন্ন বায়ুস্পন্দনরহিত হইয় পড়ে। রাষ্ট্রবিপ্লবের পরে ফ্রান্সের এই পরিণাম হইয়াছে। সেই রাষ্ট্রবিপ্লবে রজোগুণের ভীষণ প্রাদুর্ভাব, বিপ্লবাস্তে তামসিকতার অল্পাধিক পুনরুত্থান, আবার