আর্য্য আদেশ ও গুণত্রয় রজঃশক্তিকে দেশময় ছড়াইয়া দিয়াছেন। রামমোহন রায় প্রভৃতি ধৰ্ম্মোপদেশক মহাজাগণ সত্ত্বকে পুনরুদ্দীপিত করিয়া নবযুগ প্রবর্তন করিয়া গিয়াছেন। উনবিংশ শতাব্দীতে ধৰ্ম্মজগতে যেমন জাগরণ হইয়াছিল, রাজনীতি বা সমাজে তেমন হয় নাই। কারণ ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিল না, সেইজন্য প্রচুর বীজ বপিত হইয়াও শস্য দেখা দেয় নাই । ইহাতেও ভারতবর্ষের উপর ভগবানের দয়া ও প্রসন্নতা বুঝা যায়। রাজসিক ভাবপ্রসূত জাগরণ কখনও স্থায়ী বা পূর্ণ কল্যাণপ্রদ হইতে পারে না । তৎপূর্বে জাতির অস্তরে কতকাংশে বন্ধতেজ উদ্দীপিত হওয়া আবশ্যক। সেইজন্য এতদিন রজঃশক্তির স্রোত রুদ্ধ ছিল। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে রজঃশক্তির যে বিকাশ হইয়াছে তাহ সাত্ত্বিকভাব পূর্ণ। এই নিমিত্ত ইহাতে যে উদামভাব দেখা গিয়াছে তাহাতেও আশঙ্কার বিশেষ কারণ নাই, কেননা ইহা রজ:সাত্ত্বিকের খেলা ; এ খেলায় যাহা কিছু উদাম বা উচভূখল ভাব তাহ অচিরে নিয়মিত ও শৃঙ্খলিত হইবেই। বাহ্যশক্তি দ্বারা নহে, ভিতরে যে বন্ধতেজ, যে সাত্ত্বিকভাব, তাহা দ্বারাই ইহা বশীভূত ও নিয়মিত হইবে । ধৰ্ম্মভাব প্রচার করিয়া আমরা সেই ব্ৰহ্মতেজ ও সাত্ত্বিকভাবের পোষকতা করিতে পারি মাত্র । סאפ