আধ্য আদশ ও গুণত্রয় যাহা হয়, এই বালকদের দু'চারি মাসের সাধনায় তাহা হইয় গেল। রামকৃষ্ণ পরমহংস একবার বলিয়াছিলেন, “এখন তোমরা কি দেখছু—ইহা কিছুই নয়, দেশে এমন স্রোত আয়ছে যে, অলপ বয়সের ছেলে তিন দিন সাধনা করে’ সিদ্ধি পাবে।” এই বালকদিগকে দেখিলে তাহার ভবিষ্যদ্বাণীর সফলতা সম্বন্ধে সন্দেহ মাত্র থাকে না । ইহারা যেন সেই প্রত্যাশিত ধৰ্ম্মপ্রবাহের মুক্তিমন্ত পূর্বপরিচয় ; এই সাত্ত্বিকভাবের তরঙ্গ কাঠগড়া বহিয়া চারপাঁচজন ভিন্ন অন্য সকলের হৃদয় মহানন্দে আপলুত করিয়া তুলিত। ইহার আস্বাদ যে একবার পাইয়াছে যে কখনও তাহা ভুলিতে পারে না এবং কখনও অন্য আনন্দকে ইহার তুল্য বলিয়া স্বীকার করিতে পারে না । এই সাত্ত্বিকভাবই দেশের উন্নতির আশা । ভ্রাতৃভাব, আত্মজ্ঞান, ভগবৎ প্রেম যেমন সহজে ভারতবাসীর মনকে অধিকার করিয়া কার্য্যে প্রকাশ পায়, আর কোনও জাতির তেমন সহজে হওয়া সম্ভব নয়। চাই তমোবর্জন, রজোদমন, সত্ত্বপ্রকাশ । ভারতবর্ষের জন্য ভগবানের গুঢ় অভিসন্ধিতে তাহাই প্রস্তুত হইতেছে। ર૭