পাতা:জগন্নাথের রথ - শ্রী অরবিন্দ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলাধারে সুপ্ত কুণ্ডলিনী শক্তি অগ্নিময়ী ভুজঙ্গিনীর আকাৱে গর্জন করিয়া বন্ধরন্ধে ছুটিয়া আসিল, মস্তিষ্ক প্রাণশক্তি-তরঙ্গে ভরিয়া গেল। পর মুহুর্তে হরিমোহনের চারিধারে ঘরের দেওয়াল যেন দূরে পলাইতে লাগিল, নামরূপময় জগৎ যেন তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া অনন্তে লুক্কায়িত হইল। হরিমোহন বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইল। যখন আবার চৈতন্য হইল, সে দেখিল কোন অচেনা বাড়ীতে বালকের সঙ্গে দাড়াইয়া আছে, সম্মুখে গদীতে বসিয়া গালে হাত দিয়া একজন বৃদ্ধ প্রগাঢ় চিস্তায় নিমগ্র বহিয়াছেন। সেই ঘোর দুশ্চিন্তা বিকৃত হৃদয়বিদারক নিরাশ। বিমর্ষ সুখমণ্ডল দেখিয়া হরিমোহন বিশ্বাস করিতে চায় নাই যে এই বৃদ্ধ গ্রামের হৰ্ত্তাকর্তা তিনকড়ি শীল। শেষে অতিশয় ভীত হইয়া বালককে বলিল, “কি করিলি কেষ্ট, চোরের মত ঘোর রাত্রিতে পরের বাড়ীতে ঢুকিলি ? পুলিশ আসিয়া ধরিয়৷ প্ৰহারের চোটে দুইজনের প্রাণ বাহির করিবে যে ! তিনকড়ি শীলের প্রতাপ জানিস না ?” বালক হাসিয়া বলিল, "খুব জানি । কিন্তু চুরি আমার পুরাতন ব্যবসা, পুলিশের সঙ্গে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতা আছে, ভয় নাই। এখন তোমাকে সূক্ষদুষ্ট দিলাম, বৃদ্ধের সনের ভিতর দেখ । তিনকড়ির প্রতাপ জান,