স্বপ্ন হইয়া চীৎকার করিয়া উঠে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখিয়া হরিমোহন আতঙ্কে বালকের দিকে চাহিয়া বলিল, “ এ কিরে কেষ্ট, আমি ভর্মবতাম বৃদ্ধ পরম সুখী।” বালক বলিল, “ইহাই আমাব প্রতাপ । বল দেখি কাহার প্রতাপ বেশী, ও-পাড়ার তিনকড়ি শীলের, না বৈকুণ্ঠবাসী শ্রীকৃষ্ণের ? দেখ, হরিমোহন, আমারও পুলিশ আছে, পাহারা আছে, গবর্ণমেন্ট আছে, আইন আছে, বিচার আছে, আমিও রাজা সাজিয়া খেলা করিতে পারি, এই খেলা কি তোমার ভাল লাগে ?’ হরিমোহন বলিল, "না বাবা । এ ত বড় বদ্ব খেলা । তোর বুঝি ভাল লাগে ?” বালক হাসিয়। বলিল, “আমার সব খেলা ভাল লাগে । চাবকাইতেও ভালবাসি, চাৰুক খাইতেও ভালবাসি।” তাহার পর বলিল, “দেখ হরিমোহন তোমরা কেবল বাহিরটা দেখ, ভিতরটা দেখিবার সূক্ষ্যদৃষ্টি এখনও বিকাশ কর নাই। সেইজন্যই বল, তুমি দুঃখী, আব তিনকড়ি মুখী। এই লোকটির কোনই পার্থিব অভাব নাই— অথচ তোমার অপেক্ষ এই লক্ষপতি কত অধিক দুঃখ-যন্ত্রণ ভোগ করিতেছে। কেন, বলিতে পার ? মনের অবস্থায় সুখ, মনের অবস্থায় দুঃখ । সুখ-দুঃখ মনের বিকার মাত্র। যাহার কিছু নাই বিপদই যাহার সম্পত্তি, ইচছা করিলে সে বিপদের vQA