স্বপ্ন যাকৃ, শ্ৰীকৃষ্ণ আমার সঙ্গে ক্রীড়া করিতেছেন, ক্ষুদ্র পিপীলিকাচয়রূপে আমাকে দংশন করিতেছেন।” হরিমোহন দেখিল, দংশনের জালা বুদ্ধিতে আর পৌছে না, প্রত্যেক দংশনে তিনি তীব্র শারীরিক আনন্দ অনুভব করিয়া কৃষ্ণনাম উচচারণপূর্বক অধীর আনন্দে হাততালি দিয়া নৃত্য করিতে লাগিলেন। পিপীলিকাগুলি মাটিতে পড়িয়া পলাইয়া গেল। হরিমোহন সবিসময়ে জিজ্ঞাসা করিল, “কেষ্ট, এ কি মায়া !" বালক হাততালি দিয়৷ দুইবার এক পায়ের উপর ঘুরিয়া উচচহাস্য কবিল। “আমিই জগতের একমাত্র যাদুকর । এ মায়া বুঝিতে পারিবে না, এই আমার পরম রহস্য ; দেখিলে ? যন্ত্রণার মধ্যেও আমাকে ভাবিতে পারিলেন ত! আবার দেখ।” সন্ন্যাসী প্রকৃতিস্থ হইয়া আবার বসিলেন ; শরীর ক্ষুৎপিপাসা ভোগ করিতে লাগিল, কিন্তু হরিমোহন দেখিল সন্ন্যাসীর বুদ্ধি সেই শারীরিক বিকার অনুভব করিতেছে মাত্র, কিন্তু তাহাতে বিকৃত বা লিপ্ত হইতেছে না। এই সময়ে পাহাড় হইতে কে বংশীবিনিন্দিত স্বরে ডাকিল, “সখে !” হরিমোহন চমকিল। এ ষে শ্যামসুন্দরেরই মধুর বংশীবিনিন্দিত স্বর। তাহার পরে দেখিল, শিলাচয়ের পশ্চাৎ হইতে একটি সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ বালক থালায় 8 S