জগন্নাথের রথ নরক, গ্রীকদের নরক, হিন্দুর স্বর্গ, খৃষ্টানের স্বর্গ, মুসলমানের স্বর্গ, গ্রীকদের স্বর্গ, তার কত নরক, কত স্বর্গ দেখিয়া আসিল । তাহার পরে দেখিল, সে নিজ বাড়ীতে পরিচিত ছেড়া মাদুরে ময়ল। তোসকে ভর দিয়া বসিয়া আছে, সম্মুখে শ্যামসুন্দর। বালক বলিল, “বড় রাত্রি হইয়াছে, বাড়ীতে না ফিরিলে সকলে আমাকে বকিবে, মারামারি আরম্ভ করিবে । সংক্ষেপে বলি। যে স্বর্গ নরক দেখিলে, সে স্বপুজগতের, কল্পনাস্তষ্ট । মানুষ মরিলে স্বর্গ নরকে যায়, গত জন্মের ভাব অন্যত্র ভোগ করে । তুমি পূৰ্ব্বজন্মে পুণ্যবান ছিলে, কিন্তু প্রেম তোমার হৃদয়ে স্থান পায় নাই, না তুমি ঈশ্বরকে ভাল বাসিয়াছ, না মানুষকে । প্রাণত্যাগের পরে স্বপুজগতে সেই ভদ্রপল্লীতে বাস করিয়া পূর্ব জীবনের ভাব ভোগ করিতে লাগিলে, ভোগ করিতে করিতে সে ভাব আর ভাল লাগে না, প্রাণ আকুল হইতে লাগিল, সেখান হইতে গিয়া ধূলিময় নরকে বাস করিলে, শেষে জীবনের পুণ্যফল ভোগ করিয়া আবার তোমার জন্ম হইল। সেই জীবনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৈমিত্তিক দান ভিন্ন, নীরস বাহ্যিক ব্যবহার ভিন্ন কাহারও অভাব দূর করিষার জন্য কিছু কর নাই বলিয়া এই জন্মে তোমার এত অভাব। আর এখনও যে নীরস পুণ্য করিতেছ, তাহার