পাতা:জন্মতিথি - অমরেন্দ্রনাথ দে.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পবিত্ৰচেচ্ছদ নলিনী সেনের সরল হৃদিক্ষেত্রে যে বিষবৃক্ষের বীজ’বপূন করিয়া তরঙ্গিনী প্ৰস্থান করিলেন -এতক্ষণে তাহার প্রক্রিয়া আরম্ভ হইল। সন্দেহের ঈষৎ মলিন রেখাপাত কখন যে ঘনকৃষ্ণ অঙ্কে পরিণত হইল।--তাহা সে বুঝিতেও পারিল না। গুপ্ত প্ৰস্থান করিলে পর নলিনী স্তব্ধ হইয়া কিছুক্ষণ বসিয়া রহিল। নীচে রঘুনাথজী দরওয়ানের সহিত ক্রীড়ায়মান শিশুপুত্রের কলকণ্ঠ ভাসিয়া আসিতেছিল। শুনিয়া তাহার চক্ষু সজল হইয়া উঠিল। এই দুশ্চিন্তাকে সে সবলে হৃদয় হইতে দূরে ঠেলিয়া ফেলিতে চেষ্টা করিল--কিন্তু ততক্ষণে সে বিষবৃক্ষের মূল তাহার চিত্তে দৃঢ় বদ্ধ হইয়া বসিয়াছেকি ভয়ানক । এতক্ষণে সে অনিলের উল্লিখিত হতভাগ্য দম্পতীর মৰ্ম্ম উপলব্ধি করিল। তবে কি-না-অসম্ভব। এইমাত্র তরঙ্গিনী তাহাকে বলিয়া গেলেন, তাহার স্বামী সেই রমণীকে মুক্ত হস্তে অর্থ দেন। মিথ্যা কথা ! তাহার স্বামীর হিসাবের বই তো ঐ টেবিলের ডায়ারের মধ্যে, তাহারই এক্তিয়ারে থাকে। একটা চাবিও কখন দেওয়া হয় না । ইচ্ছা করিলে সেত এখনই উহা দেখিতে পারে । ভাবিতে ভাবিতে সে অজ্ঞাতে সেই টেবিলটার পানে অগ্রসর হইল। পরীক্ষণেই বিবেকের দংশনে জর্জরিত হইয়া ফিরিয়া আসিল । X-OS