পাতা:জন্মতিথি - অমরেন্দ্রনাথ দে.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজন্ম তিথি হইয়াও তুহিকে বিবাহ করিয়াছিল, সে শুধু তাহার কনিষ্ঠা ভগ্নীর মধ্যস্থতায় নলিনীর স্নিগ্ধ হৃদয়খানির পরিচয় পাইয়া । ফ্ৰত্যুেবুন্টুর ভগ্নী ও নলিনী ছিল সহপাঠী। এলাহাবাদ বালিকাএকই শ্রেণীতে উভয়েই পড়িত--- এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়িত্রী হইতে বৃদ্ধ দরওয়ান পৰ্যন্ত সকলেই জানিত, যে এই দুইটী তরুণী অচ্ছেদ্য বন্ধুত্বসূত্রে পরস্পরের সহিত আবদ্ধ। উভয়েই উভয়ের গৃহে যাতায়াত করিত ও সেই সুত্রে সত্যেন্দ্ৰ নলিনীকে অনেকব ।ার দেখিয়াছিল, এবং বলা বাহুল্য অপছন্দ করে নাই। নলিন র মুখখানিতে এমন একটি সকরুণ বিষভাব অঙ্কিত থাকিত, যে তাহার কথা ভাবিতেও সত্যেদ্রের মনটি তাহার প্রতি সহানুভূতিতে উচ্ছসিত হইয়া উঠিত। ভগ্নীর মুখে নলিনীর সম্বন্ধে যেটুকু সে শুনিয়াছিল, তাহাতে তাহার চিত্ত তাহার দিকে আরও আকৃষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু তখন নলিনীর সহিত তাহার বিবাহ অসম্ভব এবং চিন্তারও অতীত ছিল। কারণ, সত্যেন্দ্র ছিল হিন্দু বিধবা জননীর একমাত্র পুত্র এবং নলিনীর পিতা ছিলেন-বেশভূষায়, আচারে-ব্যবহারে, কথাবাৰ্ত্তীয় এবং কেত-স্ব-পুৱা দস্তুর সাহেব। অধিকন্তু নলিনীর জননী মিসেস রায়, ধনী সিভিলিয়ান স্বামীর } সহিত, ‘বিলাত দেশটা মাটির” কিনা পরীক্ষা করিয়াও আসিয়া ছিলেন ; এবং ফলে তাঁহাদের এলাহাম্মাদস্থ প্রাসাদতুলী অট্টালিকার SR