পাতা:জন্মতিথি - অমরেন্দ্রনাথ দে.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ম তিক্ৰিয় স্বামীকে পার হইয়া নলিনী একেবারে গাড়ী বারাণ্ডায় মুক্ত গগণতলে আসিয়া দাড়াইল । অনতিশীতল নৈশ-সামীরণ তাহার গৃহসংলগ্ন উদ্যানের বৃক্ষের উপর দিয়া মৰ্ম্মর শব্দে বহিয়া যাইতেছিল—নীচে হইতে হাসনাহানার গন্ধ ভাসিয়া আসিতেছিল। কৃষ্ণপক্ষের প্রথম ভাগে সম্পূর্ণ প্রায় চন্দ্ৰ আকাশ হইতে সুমিষ্ট কিরণধারা বর্ষণ করিতেছিল। গৃহমধ্যস্থ কৃত্রিমতা হইতে বাহিরে আসিয়া সে যেন প্ৰকৃতির ক্রোড়ে আশ্রয় পাইল ! সেই স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নালোকিত ছাদে, কুসুম-সুবাসিত সমীরণস্পর্শে, কি জানি কি ভাবিয়া তাহার চক্ষু দুইটি সজল হইয়া আসিল । সে আর সহ্যু করিতে না পারিয়া বাড়ী বারান্দার একটা থামের গায়ে ভর দিয়া দাড়াইয়া নীরবে অশ্রুপাত করিতে লাগিল। নিজের দুঃখে সে তখন এতই বিভোর, যে ডাক্তার চ্যাটার্জী কখন যে তাহার পাশ্বে আসিয়া দাড়াইয়া ছিল তাহা সে জানিতেও পারে নাই। প্ৰায় নলিনীর সঙ্গে সঙ্গেই গৃহ হইতে ভিন্ন দ্বারা দিয়া বাহিরে আসিয়া ডাক্তার অনেকক্ষণ তাহার পার্শ্বে চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। পরে হঠাৎ রুমালো নিজের চোখ দুইটা মুছিয়া লইয়া বলিল, মিসেস সেন, আপনি কঁদছেন ? ডাক্তারের কণ্ঠস্বর আন্তরিক সহানুভূতি স্পর্শে কোমলকরুণ। সেই স্বরে নলিনীর অশ্রুবেগ বৰ্দ্ধিত হইল। সে কহিল, আপনিও আমায় কোনও কথা বলেন নি ! আপনিও-সে NADO