द्ध2ात्रा डिस्कन्थि নলিনী কহিল, এই কথা তুমি আমায় বিশ্বাস কৰ্ত্তে বল ? আমি আমার স্বামীকে যে চিঠি লিখেছি, তুমি তা খুলেছ ? পরে ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না--এতদূর সাহস তোমার হবে না । ” সরোজিন আবেগের সহিত কহিলেন, সাহস ? যে গহবরে নামবার জন্যে তুমি পা বাড়িয়েছ-তোমাকে সেখান থেকে তোলাবার জন্যে না কৰ্ত্তে পারি -এমন কাজ সংসারে নেই। বলিতে বলিতে র্তাহার সুন্দর মুখখানি প্ৰদীপ্ত হইয়া উঠিল-- র্তাহার কণ্ঠস্বরের আকৃত্রিমতা ও দৃঢ়তায় নলিনী বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া রহিল ; তিনি হস্তস্থিত ব্যাগ হইতে পত্ৰখানা বাহির করিয়া কহিলন, এই দেখ সেই চিঠি । তোমার স্বামী এ পত্র দেখেন নি -কখনও দেখবেনও না । বলিয়া তিনি পত্ৰখানা ছিন্ন-বিছিন্ন করিয়া বাতায়ন-পথে নাচে ফেলিয়া দিলেন । নলিনী। কিয়ৎক্ষণ স্তব্ধ থাকিয়া সহসা বলিয়া উঠিল, কিন্তু যে কাগজখানা তুমি ছিড়ে ফেললে-ঐখান যে আমারই চিঠি-তা আমি কি করে জানিব ? সরোজিনী আহতের ন্যায় বলিলেন,-আমার সব কথাই তুমি অবিশ্বাস কৰ্বে ? ভেবে দেখ, তোমাকে এই প্ৰমাদ থেকে রক্ষা করা ছাড়া আমার আসার আর কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে ? আমি শপথ করে বলছি -ঐখানাই তোমার চিঠি । brownVO
