পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ। কুষ্ঠরোগের মহৌষধ। তুব্বরক রসায়ন । ১১৯ আভ্যান্তরিক প্রয়োগে আমি এই তৈল ১৫ হইতে ৬০ ফোটা বা ততোধিক DL BBB DBDS EDS B sBB BB DDB CL S KLLDuD L0LLDDD আমি অনেক কুণ্ঠরোগী আরোগ্য করিয়াছি ! ধাহারা এই তৈল কুষ্ট রোগে ব্যব- “ BB DTDDS SDTDD S BDDBD BEzS KDY SS DD বাতিরক্ত এবং কুণ্ঠরোগে উক্ত তৈল ব্যবহারে আয়োগ্য হইতে দেখিয়াছি । আজ কাল এই তৈল ফরাসী দেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবহৃত হইতেছে । এইরূপ আশ্চৰ্য্য ফলপ্ৰদ ঔষধ ভারতের রোগীগণ যত ব্যবহার করিবেন, ততই ভারতের পক্ষে মঙ্গল। অধিকাংশ ডাক্তারগণের ধারণা যে আয়ুৰ্ব্বেদে ডাক্তারদের শিখিবার কিছুই নাই। আমার অনুরোধ চিকিৎসকেরা ভারতের বহু পরীক্ষিত ঔষধগুলি উদার-চিত্তে ব্যবহার করেন । সত্যের অনুসন্ধান করতে পিপাসা হইলে এমন কি নরক হইতেও সত্য সাদরে গ্ৰহণ করা যায় ৷ কবিরাজ মহাশয়েরা মনের ংকীর্ণতা ত্যাগ করিয়া জগতে যেখানে আশ্চৰ্য্য ফলপ্ৰদ ঔষধ আবিষ্কৃত হইতেছে তাহা আয়ুৰ্ব্বেদের চিকিৎসা প্ৰণালীতে ব্যবহার করিয়া রোগীর বেদন নিগ্ৰহ 可夺{ প্ৰাচীন ঋষির যবনোক্ত ঔষধ সকল গ্ৰহণ করিতে কখনও কুষ্ঠিত হন নাই। সেই সরল-প্রাণ ঋষিদিগের সন্তান হইয় আপনার চিকিৎসায় দ্বেষভাব ত্যাগ করুন। বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রচারের সহিত ভারতবর্ষের ঔষধ তিব্বত, চীন প্রভৃতি অথৰ্ব্ব-বেদাচারী মানবের নিকট প্রচারিত হইয়াছে । আয়ুৰ্ব্বেদের চিকিৎসার মেরুদণ্ড পারদ, স্বর্ণ, রৌপ্য, লক্ষণামূল প্রভৃতি ঔষধ সকল বিদেশ হইতে ভারতবর্ষে আসিতেছে। ভারতবর্ষের অনেক ঔষধ মুসলমানেরা আপনাদের চিকিৎসা শাস্ত্ৰে সন্নিবেশিত করিয়া লইয়াছেন। তাই সকলের কাছে আমার বিনীত প্রার্থনা এই যে, সত্যের প্রচারে কেহ যেন বাধা না দেন ; এবং মহর্ষি চরকের সহিত একমত হইয়া সকলেই যেন স্বীকার করেন, “তদেবযুক্তং ভৈষজ্যম যদ্বারোগায় কল্পতো”। প্রাচীন সকল সভ্যজাতিরাই ভারতবর্ষ হইতে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষা করিয়া ছিলেন । ইজিস্পীয়ান ( মিসর দেশবাসীগণ), আরবজাতি, গ্ৰীকজাতি, রোমান জাতি, এই সকল জাতিরাই ভারতের কাছে ঋণী ছিলেন। রঘুবংশের কুলগুরু বশিষ্ঠদেব চীনদেশে যাইয়া ব্রহ্মবিদ্যা লাভ করেন। এখনও চীন, জাপান, বৰ্ম্ম, সিংহল এবং তির্বতবাসীরা ভারতবর্ধকে পুণ্যক্ষেত্র বলিয়া মানেন। বায়ু, পিত্ত ও শ্লেষ্মা নিরূপণ করিয়া চিকিৎসা ভারতবর্ষ হইতে সমস্ত সভ্যজাতির মধ্যে