পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০৪ জন্মভূমি । ৬ষ্ঠ সংখ্যা । উঠিয়া দাড়াইল সদার মাতাল খোল বাজাইতে লাগিল, কীৰ্ত্তনের সুরে সকলেই গলা ছাড়াইয়া গাহিয়া উঠিল, “বিধু যেন শোনে না, বিধু যেন শোনে না, রাধা। সনে কদমতলে নাচতেছে কেলেশোনা ।” উৰ্দ্ধে বাহু তুলিয়া একজন মাতাল হুঙ্কার করিয়া বলিল, ভারি গরম, বাহিরে 6可1 সকলে বাহির হইয়া উঠানে নামিল, জোরে জোরে খোল বাজিতে লাগিল, উচ্চৈস্বরে কীৰ্ত্তন আরম্ভ হুইল । মাতালেরা নাচিতে নাচিতে বাজাইতে বাজাইতে কীৰ্ত্তন গাহিতে গাহিতে ছোট বাবুর বৈটকখানায় প্ৰবেশ করিল, পদে পদে মণ্ডলাকারে ছোটবাবুকে প্ৰদক্ষিণ করিয়া অতি উচ্চকণ্ঠে গাহিতে লাগিল, বিধু যেন শোনে না, বিধু যেন শোনে না, রাধাসনে কদমতলে নাচতেছে কেলেশোনা । খোলওয়ালা মাতাল, মাথা ঘুৱাইয়া তালে বোতালে খোল বাজাইতে আরম্ভ করিল, বড় বাবু শশীভূষণ স্বয়ং সেই কীর্তনের অধিকারী। পুস্তকখানি বন্ধ করিয়া, বাতি নিবাইয়া ঘূণায় লজ্জায় মাথা হেঁট করিয়া বিধুৰ ভূষণ নিঃশব্দে অন্তঃপুরে পলায়ন করিলেন ; কিছু বেশী দিন বাড়ীতে থাকিবেন। আশা করিয়া বেশীদিন ছুটি লইয়াছিলেন, ছুটি মাথায় রহিল, সপ্তমী পূজার দিন স্ত্রীকে সঙ্গে লইয়া তিনি কৰ্ম্মস্থলে চলিয়া গেলেন । তদবধি দাদার খরচের জন্য মাসে কুড়ি টাকা করিয়া আসিতে লাগিল। দাদার ইয়ারের দল বিদায় হইল, ব্ৰাণ্ডির মৌতাত কমিল, প্ৰথম অবস্থার গুলির মীেতাত ৰাড়িয়া উঠিল। এই দৃষ্টান্তটিকে যাহারা, উপদেশটিকে যাহারা উপদেশ বলিয়া গ্ৰহণ করিবেন। প্রাণখুশিয়া তাহাদিগকে আমরা সহস্ৰ সহস্র ধন্যবাদ দিব। কেরাণী তত্ত্ব - লেখক, শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ বিদ্যাম্বুধি কেরাণী এই শব্দটী বাঙ্গাল শব্দ নহে, হিন্দি শব্দ, ইংরাজীতে ইহার প্রতিশব্দ ; Clerk ; সেকালে চার্চে যিনি লেখাপড়ার কাজ করিয়া প্ৰধান ধৰ্ম্ম যাজকের সহায়তা করিতেন, র্তাহাকেই ক্লার্ক বলা হইত, কিন্তু এখন যে কোন দপ্তরের প্ৰধান ব্যক্তির নিম্নস্থ, প্ৰায় সকল কৰ্ম্মচারীই.ক্লার্ক, নামে পরিচিত। সুতরাং