S)o8 জন্মভূমি । sai | রোগের লক্ষ লক্ষণ্য লক্ষ্য করিয়া চিকিৎসা না করিলে আশু ফললাভের আশা-অ । রোগ এক কারণে উদ্ভূত হইলেও ব্যক্তিগত ধাত্বাদির ব্যতিক্রমে বিভিন্ন উপায়ে রোগের প্রতিকার করিতে হয়। ব্লতের ব্যাথায়-তাপ দিলে উপশম হয় বলিয়া, সকল স্থানে একরূপ জ্বাপে উপকার দর্শে চা ; কোথাও বা রুক্ষস্বেদ কোথাও তৈল মর্দন ও তাপ, কোথাও বা গরম জলের তাপে (Fomentation, ) "gos শাস্তি হয় । । તાજેતા রাগে বেরি-বেরিতেও ) তদ্রুপ এক রকম প্রক্রিয়া দ্বারা বা এক ঔষধে শান্তিলাভের উপায় নাই, কাজেই পাঁচটি মুষ্টিযোগের উল্লেখ করিলেই ইহার রের উপায় বলা হয়। না। বিষয় গুরুতর, মাদৃশ ক্ষুদ্র চিকিৎসকের দ্বারা ৰৈ হৈার ঠিক ব্যবস্থা পাইবেন। তাহার সম্পূর্ণ আশা রাখিবেন না ; তবে মহামহোপাধ্যায় আয়ুৰ্ব্বেদাচাৰ্য্যগণ যে পথ অনুসরণে নানা তথ্যের মীমাংসা করিয়া গিয়াছেন, যদি আমার দ্বারা সেই অভ্রান্ত ঔষধের বিস্তারকল্পে কিছুমাত্র আনুকুল্য এবং জনসাধারণের সামান্যমাত্র উপকার সাধিত হয়, তবে নিজকে ধন্য মনে করিব। আর একটি কথা, বৈদ্য-চিকিৎসকগণের বংশ-ভেদে গুরু-ভেদে চিকিৎসাপদ্ধতির কিছু কিছু পার্থক্য বঙ্গদেশে বহুকাল হইতে চলিয়া চালিতেছে। マエリ হয়ত আমার লিখিত মুষ্টিযোগ ও পাচনাদি অপরাপর কবিরাজগণের মধ্যে কাহারও অনুমােদিত, কাহারও বা অনভিপ্রেত হইতে পারে; এইরূপ নানা কথা ভাবিয়া চিন্তিয়া ঔষধবিষয়ে লিখিতে বিরত থাকিব মনে করিা ছিলাম। শাস্ত্রকার গণের প্রমাণ দিয়া বেরি-বেরির যে শোথত্ত্বি স্থাপন করা গিয়াছে তাহার উপর তর্ক চলে না, কারণ প্রমাণগুলি আমার কথা নহে উহা পরমপূজ্য অভ্রান্ত ঋষি ও আচাৰ্য্যবাক্য ; কিন্তু ঔষধ নিৰ্বাচন ও প্রয়োগ প্ৰত্যেক চিকিৎসকের স্বাধীন ইচ্ছার উপর নির্ভর করিতেছে, যিনি যেটা ভাল বুঝেন বা যাহাতে ফল পাইয়াছেন সেই ঔষধই ভূয়শঃ ব্যবহার করিয়া থাকেন। অত্র প্রবন্ধে লিখিত ঔষধগুলি আমার নিজ ইচ্ছানুরূপ/নির্বাচিত ও পরীক্ষিত ; কোন কোনটী বা যোগ, এই ৷ কারণেই প্ৰথমে লিখিতে অগ্রসর হই নাই, কিন্তু সম্পাদক মহাশয়ের অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া লিখিতে বসিলাম, ইহান্তে তাঁহার ও পাঠকৰদ্যুর আকাঙ্ক্ষা মিটবে কি না জানি না । উপরেই পৃথক পৃথক লক্ষণভেদে এক রোগেই নানা ঔষধ প্রয়োগ আবখািক হইয়া পড়ে। অধুনাতন শোখ বা বেরি-বেরিতে
