পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ। गiशन्म उड्न | NONO শ্ৰীকৃষ্ণ এই নাম করিলে, তঁহার নামী সৰ্ব্বব্যাপী ( বিভু), সৰ্ব্বভুতের]:আত্মা, সৰ্বাশ্রয় সর্বাকর্ষক এক চিন্ময় সত্ত্বার জ্ঞান হয়। এই বিষয়টা আরও একটুকু বিষদ ভাবে বুঝিতে গেলে এই ভাবে বুঝিতে হয় যে, শ্ৰীভগবান অতি বৃহৎ বস্তু, ক্ষুদ্রজীব তাহাকে সম্যক প্রকারে ধারণা করিতে পারে না, তাই যে জীব বা যে যে, উপাসক সম্প্রদায়ের যে যে, ব্যক্তি যে যে, ভাবে তঁহার সত্ত্বা ধারণা করিয়া যে নামে অভিহিত করিয়াছেন, তাহার অর্থাৎ এই সমস্ত সত্ত্বার সমষ্টি করিলে আমরা যে মহান সত্ত্বার উপলব্ধি করিতে পারি, তাহা সব আশ্রয়, সৰ্ব্বাকর্ষক শ্ৰীকৃষ্ণ নামের নামীর সত্ত্বায় পৰ্য্যবসিত হয়, অর্থাৎ সেই মহান সত্ত্বাকে শ্ৰীকৃষ্ণ নামে অভিহিত করিলে, সৰ্ব্বসত্ত্বা তাহাতে উপলব্ধি হয়। তাই শাস্ত্ৰে লিখিত আছেঃ “ঈশ্বরঃ পরমৎকৃষ্ণ সচ্চিদানন্দ বিগ্ৰহঃ । অনাদিরাদি গোবিন্দঃ সৰ্ব্বকারণঃ কারণম্৷৷ ঈশ্বর পরম কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান। সর্ব অবতরী সর্ব কারণ প্ৰধান ৷ অনন্ত বৈকুণ্ঠ আর অনন্ত অবতার। অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড, ইহা সবার আধার ॥ পুরুষ, যোষিত (স্ত্রী) কিংবা স্থাবর জঙ্গম। সর্বচিত্তাকর্ষক সাক্ষাৎ মন্মথ মদন ॥ নানা ভক্তে নানামত রাসামৃত হয়। সেই সব রাসামৃতের বিষয় আশ্রয় ॥ ইহাতে বুঝিতে হইবে যে, ব্যক্তি শ্ৰীভগবানের যে, রসে আকৃষ্ট হইয়া যে প্রকার “ভাবাবেশে”এই ভগবৎ-রস আস্বাদন করেন, তাহার বিষয়ও তিনি এবং আশ্রয়ও তিনি অর্থাৎ শ্ৰীভগবানই রসস্বরূপ, এবং তঁহাকেই অবলম্বন করিয়া ভক্তের হৃদয়ে ভাবের মূৰ্ত্তি হয়, এবং পরমানন্দ লাভ করে ; তাই উপনিষদে উল্লেখ আছে— “রসোবৈ সঃ। রূসং হোবায়ংলবিধবা নন্দী ভবতি ৷” “সেই পরমাত্মা রস-স্বরূপ তৃপ্তিহেতু। সেই রস-স্বরূপ পরব্রহ্মকে লাভ করিয়া জীব আনন্দিত হয়েনি।” ইহার ভাবাৰ্থ এই যে, মঙ্গলময়ের প্ৰেমাৱস লাভ করিয়া জীব পরমানন্দে মগ্ন থাকেন, বাক্য তঁহাকে আপনা হইতেই রস-স্বরূপ