পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ - ज्न् ऊ ॥ vOv6 কৰ্ম্মফল অনুসারে কখন স্বৰ্গ, কখন নরক পরিভ্রমণ করিয়া বেড়ায় । তাহার মধ্যে কলিকালে হোম, জপ, তপাদি কোনপ্রকার যজ্ঞ বা বৈদিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান হইতে পারে না ; কেন না, হােমাদি কোন প্রকার ক্ষুদ্র যজ্ঞ করিতে গেলেও চারি প্রকার ঋত্বিকের আবশ্যক, যথা-অধ্বযু্য, হোতা, উদ্যাত, ও ব্ৰহ্মা, এই চারি প্রকারের ঋত্বিকের চারি প্রকার। কাৰ্য্য। প্ৰথম প্ৰকার ঋত্বিক চারিজিন আবখ্যক । ইহঁরা প্রত্যেকেই যজুৰ্ব্বেদে বুৎপন্ন এবং যজুৰ্ব্বেদোক্ত বেদি নিৰ্ম্মাণ কাৰ্যে বিশেষজ্ঞ, অর্থাৎ বহুস্থানে বহুবার যজ্ঞ কাৰ্য্য করিয়া বিশেষ সুখ্যাতি লাভ করিয়াছেন, এ প্ৰকার লোক নির্বাচন করিতে হয় । ২ । দ্বিতীয়তঃ-৪ জন হোত, ইহঁদের ঋগ্বেদে বিশেষ বুৎপন্ন হওয়া চাহি । ৩ । তৃতীয়তঃ-৪ জন উদগাতা ইহাদের সামবেদে বিশেষ বুৎপন্ন হওয়া চাহি। এই ৪ জন বাকুসিদ্ধ পুরুষ হওয়া বিশেষ আবশ্যক ; কেন না, উদগাতার উদগানে মন্ত্র সকল মূৰ্ত্তিমান দেবতা স্বরূপ হইয়া যজমানকে (যিনি কৰ্ম্ম করেন ) কৰ্ম্মফল প্ৰদান করিবে । ৪ । চতুর্থতঃ-৪ জন ব্ৰহ্মার আবশ্যক, এই চারিজন ব্ৰহ্মা সৰ্ব্ববেদ এবং যজ্ঞে পারদর্শী হওয়া চাহি। এক্ষণে র্যাহার কিছুমাত্ৰ বিচার শক্তি আছে, তিনি অনায়াসে বুঝিতে পারেন। ষে, সত্য, ত্রেতা, এবং দ্বাপর যুগে বৈদিক ক্রিয়া যখন নিত্য নৈমিত্তিক ভাবে গৃহী মাত্রেই অনুষ্ঠান করিত, তখনও যদি ১৬ জন বিশেষজ্ঞ আচাৰ্য্য দ্বারা এই প্ৰকার অতি সাবধানতার সহিত বৈদিক কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান হইত, তখন কলিকালে এ প্রকার বৈদিক কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান কখন সম্ভব নহে।. কেন না, বেদ অপৌরুষের অর্থাৎ ভগবান বাক্য শ্ৰীভগবান যেকাৰ্য্য যে প্রকার করিতে আদেশ করিয়া রাখিয়া ছেন, তাহার পরিবর্তন করিয়া কাৰ্য্য করিলে কখন সে কাৰ্য্যের সুফল প্ৰাপ্ত হওয়া যায় না। তাই পরম কারুণিক মহর্ষি জয়মনি পুৰ্ব্ব মীমাংসার বিচার করিয়া বিষদ ভাবে জগৎকে বুঝাইয়া দিয়াছেন যে, দেশাচার কুলাচার প্রভৃতি সংস্কার বশতঃ বা গুরু পুরোহিত অধ্যাপকাদির পরামর্শ অনুসারে বেদ-বিধির কিছুমাত্র পরিবর্তন করিলে কখনই কাৰ্যে ফল প্রাপ্ত হওয়া যায় না। ইহাতে বিশেষ করিয়া বুঝিতে হইবে, কলিকালে যখন-ঋত্বিকের সম্পূর্ণ অভাব এবং যজ্ঞ কাৰ্য্যের উপাচারও অমিল, তখন গুরু পুরোহিত অধ্যাপকাদির পরামর্শে যিনি যে-কোনপ্রকারী: প্ৰগাঢ় ভক্তিভাবে বৈদিক যে কোন ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করুন না কেন, তাহা মিথ্যা