পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

XIsf qğ{ সাধনতত্ত্ব। WV) যে সমস্ত বৈষ্ণব নামধারী ভক্তি শাস্ত্রানভিজ্ঞগণ কুসঙ্গে পতিত হইয়া, স্ত্রীলোকদিগকে মধ্যবৰ্ত্তী করিয়া মন্ত্র উচ্চারণ বা মন্ত্রজপ করিতে করিতে স্বকীয় বা পরকীয় ভাবে তাহদের ধ্যান, ধারণা, দর্শন, স্পৰ্শন, স্তম্ভন এবং সম্ভোগাদি ক্রিয়ার অনুষ্ঠান দ্বারা ভজন সাধন করেন, তাহারা বৃন্দাবন, জগন্নাথ, নবদ্বীপ বা গঙ্গাতীরবাসী হউন না কেন, এই অপরাধে তাহদের কোন ক্রমে নিস্তার নাই। আবার র্যাহারা তন্ত্র এবং পুরাণাদি শাস্ত্রের দোহাই দিয়া এই কুকায্যে প্ৰবৃত্ত আছেন, তাহারাও ঘোর ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন। তাই শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যদেব সনাতনকে শিক্ষাছলে জগৎকে বুঝাইয়াছেন যে,- “ব্যামোহয় চরাচর হত্য জগতন্তে ভেক্ত পুরাণাগমাস্তাং তামোব হি দেবতাং পরামিকাং জল্পস্তু, কল্পাবধি । সিদ্ধান্তে পুনরেক এব। ভগবান বিষ্ণু সমস্তাগমব্যাপারেষু। বিবেচন ব্যতিকরং নীতেষু নিশচীয়তে ॥” চরাচর:জগতের মোহাৰ্থ অর্থাৎ মায়া বা অজ্ঞান দ্বারা আচ্ছন্ন করিবার জন্য পুরাণ এবং তন্ত্রশাস্ত্ৰ বিরচিত হইয়াছে। তন্ত্রিরূপিত দেবগণও অর্থাৎ তন্ত্র এবং পুরাণাদি মিথ্যা শাস্ত্ৰাদি দ্বারা নিরূপিত মিথ্যা দেবদেবীগণও (অজ্ঞান) মানবগণ কর্তৃক পূজিত হইতেছে ; কিন্তু নিখিল শাস্ত্র অর্থাৎ সমস্ত বেদ বেদাঙ্গাদি সৰ্ব্বধৰ্ম্ম শাস্ত্র বিচার করতঃ মীমাংসা করিলে কেবল মাত্ৰ বিষ্ণু ( শ্ৰীকৃষ্ণই ) ভগবানবলিয়া নিশ্চিত হয়। এই অতি আবশ্যকীয় বিষয় মহাপ্ৰভু কি প্রকার যুক্তি স্বারা সনাতনের শিক্ষাচ্ছলে জগৎকে বুঝাইয়াছে, তাহা শ্ৰবণ করুনঃ “মায়ামুগ্ধ জীবের নাহি কৃষ্ণস্মৃতি জ্ঞান। জীবের কৃপায় কৈল কৃষ্ণবেদ পুরাণ ৷ শাস্ত্র, গুরু, আত্মারূপে আপন জানান। কৃষ্ণ মোরা প্ৰভু ত্ৰাতা জীবের হয় জ্ঞান ৷ বেদশাস্ত্ৰে কহে সম্বন্ধ অভিধেয় প্রয়োজন। কৃষ্ণপ্রাপ্তি সম্বন্ধ, ভক্তি প্রাপ্তির সাধন । অভিধেয় নাম ভক্তি, প্ৰেম প্রয়োজন । পুরুষাৰ্থ-শিরোমণি প্ৰেম মহাধন। 8