পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ । ব্ৰাহ্মণের প্রধান কর্তব্য ত্ৰি সন্ধ্যা । ve -==ു ব্যবহৃত হইয়া থাকে, যেমন প্রচ্ছন্নজ্ঞান তরুগুল্মাদি হইতে ক্ষুটজ্ঞান পশুপক্ষী শ্রেষ্ঠ, আবার স্ফুট সন্ধীর্ণজ্ঞান পশু পক্ষী হইতে স্কুট বিস্তৃত জ্ঞান নরশ্রেষ্ঠ, সেই নরেরও অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গের মধ্যে মস্তকই শ্ৰেষ্ঠ, কেন না, যেই জ্ঞানের উৎকর্যে মানবের উৎকর্ষতা, সেই জ্ঞানেন্দ্ৰিয়ের স্থানই মস্তক। চক্ষু কৰ্ণ নাসিকা ও জিহবা, একমাত্র মস্তককে আশ্ৰয় করিয়াই নিজ নিজ বিষয় রূপ রস গন্ধ ও শব্দ যথানিয়মে গ্ৰহণ করিয়া থাকে। আর ত্বক ইন্দ্ৰিয় সমস্ত দেহ ব্যাপক, সুতরাং মস্তকেও তাহার অভাব নাই, অতএব জ্ঞানাৰ্জক সকল ইন্দ্ৰিয়ের আকর বিধায়ই মস্তকের নাম “উত্তমাঙ্গ” ঐ উত্তমাঙ্গ হইতে স্বাভাবিক সত্ত্বগুণ প্ৰাধান্য লইয়া উৎপন্ন হইয়াছেন, কাযে। কাষেই বিশুদ্ধ জ্ঞান ব্ৰাহ্মণেরই নিজস্ব, এই জ্ঞানের চরমোৎকর্ষ ব্ৰাহ্মণেই প্ৰায় লক্ষিত হয়, এজন্যই ব্ৰাহ্মণজাতি শ্রেষ্ঠতায় সকলেরই অগ্ৰণীয় হইয়াছেন। আর এক কথা, উপাদান কারণের গুণ কাৰ্য্যে লক্ষিত হয়, ইহা সকলেই জানে, যেমন সুত্ৰ উপাদান কারণ, বস্ত্ৰ তাহার কাৰ্য্য, সে জন্য সুত্র যদি শুভ্ৰ হয়, তবে তন্নিৰ্ম্মিত বস্ত্ৰও শুভ্ৰ হইবে, সুত্ৰ যদি রক্তবর্ণ হয়, তবে বস্ত্ৰও রক্ত বর্ণই হইবে। সেইরূপ ব্ৰহ্মার মুখ উপাদান কারণ, ব্ৰাহ্মণ তাহার কাৰ্য্য, ব্ৰহ্মার মুখ চতুষ্টয়ের গুণ বাগিতা, ঋক্, যজুঃ সাম ও অথর্ব প্রভৃতি বেদ উপনিষদ আরণ্যক প্রভৃতি শাস্ত্র অনবরত বলিয়াছেন, অর্থাৎ বাকাম তাহার প্রধান কাৰ্য্য। ভগবান শঙ্কর ত্রিপুরাদি অসুরবর্গকে এবং ভগবান বিষ্ণু মধুকৈটভাদি দৈত্যাদিগকে বাহুবলে বিদলিত করিয়াছেন। আর ব্ৰহ্মা কেবল গলা বাজী করিয়াছেন । দৈত্য মধুকৈটভ ব্ৰহ্মাকে বধ করিবার জন্য উদ্যত হইলে, ব্ৰহ্মা ভয়ে জড়সড় একটুকু হাতটা পৰ্য্যন্ত নাড়িলেন না। অন্ততঃ করস্থিত কমণ্ডুলুটার ঘা মারিবারও উদ্যম বা ভয় প্রদর্শন করিলেন না। কেবল বিষ্ণুর ঘুম ভাঙ্গিবার জন্য নিদ্রাদেবীকে লক্ষ্য করিয়া চারিমুখে চেচাইতে লাগিলেন। সেই উপাদান কারণ ব্ৰহ্মার মুখ হইতে জাত ব্ৰাহ্মণের না পাইয়াছে ভুজবীৰ্য্য, না পাইয়াছে জঙ্ঘা বীৰ্য্য, কেবল শাস্ত্রাভ্যাস শাস্ত্ররচনা সদুপদেশ নীতি প্রচার, জপ তপস্যাদি সদাচার প্রভৃতির পাঠন ইত্যাদি সুখের কাৰ্য্য লইয়াই ব্যাস বিশিষ্ট ও বাল্মীকাদি ব্ৰাহ্মণের खािन्नाgछ्न् । বাস্তবিক ও ব্ৰাহ্মণের মত সুখের যোর অপর কোনও জাতিতে প্ৰায়ই তেমন দেখা যায় না, ব্রাহ্মণ যেমন মাথা বকাইতে পারেন, আর কেহ তেমন পারে না, সুতরাং জ্ঞানপ্ৰধান শাস্ত্ৰ প্ৰণেতা ব্ৰাহ্মণই, সেজন্যই ব্ৰাহ্মণ সমাজে এত প্ৰধান। ইহা মিথ্যা নহে, রাম যুধিষ্ঠিরাদি রাজা ছিলেন, স্বর্ণসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়া রাজদণ্ড পরিচালনা করিতেন বটে ; কিন্তু একটী বানচাৰী ফলাহারী ভাবমু