পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ । ব্রাহ্মণের প্রধান কর্তব্য ত্রিসন্ধ্যা । తీసి ব্ৰহ্মা মাতোরারা, উন্মাদ, এমন কি নিজের কর্তব্য সৃষ্টিকৰ্ম্ম ভুলিয়া সন্ধ্যার প্রতিই অনুরক্ত, পরে ভগবান শঙ্করের উপদেশ ও ভয়ে প্ৰাতঃ মধ্যাঙ্ক ও সায়াকু এইরূপ সময় বিভাগ করিয়া ব্ৰহ্মা সন্ধ্যোপাসনায় রত হইলেন । তদবধি ব্ৰহ্মা সৰ্ব্ব বেদের সারাভূত সন্ধ্যাকে মনে করিয়া নিজের প্রিয়পুত্র মরীচ্যাদি ঋষিদিগকে সন্ধ্যোপাসনায় দীক্ষিত করিলেন। ঋষিগণও বুঝিলেন, সন্ধ্যাই ব্ৰাহ্মণের ব্ৰাহ্মণত্ব সন্ধ্যাই ব্ৰাহ্মণের জাতি, সন্ধাই ব্ৰাহ্মণের জীবন সর্বস্ব, তাই ব্ৰাহ্মণ, ধন প্ৰাণ মান সুখ শান্তি এমন কি ধৰ্ম্ম অর্থ কাম ও মোক্ষ পৰ্য্যন্ত তৃণ তুল্য মনে করিয়া উপেক্ষা করিতে পারেন ; কিন্তু সন্ধ্যা কিছুতেই পরিত্যাগ করিতে পারেন না । এমন কি এক বেলা সন্ধ্যা বাধ হইলে, সেই অপরাধের মোচনার্থ দশবার গায়িত্রী জপরূপ প্ৰায়শ্চিত্তাত্মক দণ্ড স্বীকার করিতে হয় । ক্রমে ত্রিসন্ধ্যা বাধা করিলে শূদ্ৰজাতিতে পরিণত হয়। একপক্ষ সন্ধ্যা বাধা করিলে মহাপ্ৰায়শ্চিত্তাহঁ চণ্ডাল জাতিতে পরিণত হয়। (বিষ্ণু পু৩৷৷১৮৩৭-) এখন দ্রষ্টব্য হইতে পারে যে, সেই সন্ধ্যায় এত সৌন্দৰ্য্যটা কি ? বরং অনেকে ভাবিতে বা বলিতে পারে যে-সন্ধ্যার আবার এত সৌন্দৰ্য্য, এত উৎকৃষ্ট ভাব অথবা মনোহর অর্থ কি আছে ? বরং এই মাত্ৰইত বুঝিতে পারা যায় যে, “মরুদেশোৎপন্ন জল আমার মঙ্গল করুন, জলপ্লাবিত দেশের জল আমাদের মঙ্গল করুন, আর কুপোদক, সমুদ্রোদিক আমাদের মঙ্গল করুন” এই প্ৰকারইত সন্ধ্যার --- অর্থ, ইহার আবার এত বাহাদুরী কি ? এইরূপ ভাবা ঠিক নeে । , আদি সৃষ্টিতে ব্ৰহ্মা চিন্তা করিতে করিতে দেখিতে পাইয়াছিলেন যে, এই পরিদৃশ্যমান জগৎ অখণ্ড সচ্চিদানন্দ পরব্রহ্মেরই “বিবৰ্ত্ত” চৈতন্যাত্মা ব্ৰহ্মই দৃশ্যমান জগদ্ধাপ ধারণ করিয়াছেন, এই ক্ষিতি জলতেজ বায়ু ও আকাশ চৈতন্তাত্মা ব্রহ্মেরই এক একটা অংশ, এই দেৰ মনুষ্য পশু পক্ষী কৃমি পতঙ্গ, ব্ৰহ্মেরই এক একটা গুড়া-সুন্নতম অংশ, সুতরাং যেই ক্ষিতি তেজ বায়ু ও আকাশকে আমরা জড় পদার্থ দেখিতেছি, প্রকৃত পক্ষে তাহারা জড় নহে, কিন্তু চৈতন্যাত্মিা ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বত্রই “আমি” রূপে বিরাজিত, ক্ষিতিতে আমি সদগন্ধ জলের আমি রস, তেজের আমি প্ৰভা, বায়ুর আমি স্পৰ্শ, আকাশের আমি শব্দ, সুতরাং সকলেই জীবন্ত, সকলে DD DuDB DBD DDD DD LDDBS DBLB BDDSDBBBS LLLBD BBGS

  • গীতায়ে আছে-“পুণ্যো গন্ধঃ পৃথিব্যাঞ্চ” “রসোহহ মাপ সু কৌন্তেয়া”

“প্ৰভাস্মি শশিসূৰ্য্যয়োঃ” “তেজশ্চাৰ্ম্মি বিতাবিসেী” “শব্দঃখে” ইত্যাদি। + মহাভারতে উক্ত আছে- আদি; ৮৯, ১১ শ্লোঃ- لي } মশক দংশক পক্ষী সরীসৃপ কৃমি মৎস্ত প্ৰস্তর তৃণ কাষ্ঠ প্রভৃতি সকলেই নিজ নিজ কৰ্ম্মফল ভোগের পরে পুনৰ্বার নিজ নিজ কৰ্ম্মক্ষম পুর্বদেহ ধারণ করিবে। ”