পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ ? যমুনাকূলে শ্ৰীকৃষ্ণ । কৃষ্ণ নামামৃত পানে অমর সে সাধু।. আর নয় ;-সুসময় উপস্থিত এৰে, শুনিতে হতেছে। সাধ, অবশ্য শুনিবভক্তসনে শ্ৰীকৃষ্ণের কি কি কথা হয়। ভাবের ভাবুক ধারা, তঁহাদের মনে, স্বভাবত এসে থাকে। এই অকিঞ্চন । দেখ রঙ্গ, মৃদুহাসি ত্রিভঙ্গ মুরারিকরে। ধরি তুলিলেন ভকত আক্রমুরে। জোড় করে নতি করি।-সুধীর অক্রেরা প্ৰেমভক্তি বরাষিল সেই স্তুতিগীতে। স্বাস্তুনিয়া রাধাকান্ত তুষিয়া ভকতেসুধাইলা, তথা আসা কোন অভিলাষে ? য়মুনার পানে চাহি প্ৰসন্ন বদনেউত্তরিলা বাৰ্ত্তাবহ সুমতি আক্রর, “কলিন্দ নন্দিনী নদী বড় ভাগ্যবতী ! নিত্য হেরে কৃষ্ণরূপ, কৃষ্ণের চরণধুয়াইয়া দেয় নিত্য আপনার জলে ; যমুনার মত পূণ্য আমাদের নাই ; আমরা অভাগা ভাবে অতি অভাজন । কৃষ্ণ হে! ভাবিয়া দেখ, আজি কতদিন,- কতদিন ত্যজিয়াছ মথুরা নগরী ; জননী দেবকী তব, পিতা বসুদেব কেঁদে কেঁদে অন্ধ প্ৰায়, বদ্ধ কারাগারে ; আমিও কেঁদেছি কত, কি কব কেশব । যদিও হৃদয়ে জাগে মুৱতি তোমারপ্রতিক্ষণ, তবুকৃষ্ণ, নক্সন যুগলসমুদা অশ্রুপাত করে তব অদর্শনে । 6