পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ । মানুষের ক্ষমতা। 8 লিকা বল, কল কারখানা বল, বাপীয় পোত অর্ণবযান বা শকটই বল সকলের ভিতরেই এই মানবীয় ক্ষমতার অপ্ৰতিহত প্রসার পরিলক্ষিত হয়। বিজ্ঞান যতই উন্নতিলাভ করিতেছে ততই মানবের এই শক্তি প্ৰকাশের ক্ষেত্র পরিবদ্ধিত হইতেছে । আজ যাহা মানবের আয়ত্তের ভিতর ছিল না, কল্য তাহা তাহার নিতান্ত সুখকর কাৰ্য বলিয়া মনে হইতেছে, কে জানিত ষে আকাশের তড়িৎ আবার আমাদের গৃহে গৃহে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়া ভূত্যের ন্যায় আমাদের আজ্ঞাবহ হইবে ও আমাদিগকে প্রতিনিয়ত চামর ব্যাজন আলোক দান প্রভৃতি কাৰ্য্য করিয়া সেবা করিতে থাকিবে ? পৌরাণিক ইতিকথায় শুনা যায় যে, রাবণ রাজার আজ্ঞাবাহী ভূত্যের ন্যায় ইন্দ্ৰ, চন্দ্ৰ, বায়ু, বরুণ, কুবের প্রভৃতি সেবা করিতেন ; আমাদের সম্বন্ধে যে তাহা একদিন সম্ভব পর হইবে না, কে তাহা বলিতে পারে ? একে একে নৈসৰ্গিক শক্তিনিচয় অবর্নত মস্তকে মানবের বুদ্ধি কৌশলের নিকট পরাভূত হইয়া উপস্থিত হইতেছে ; ইত্যর প্রাণিদিগের কথা ছাড়িয়া দেওয়াই উচিত, দুর্দান্ত হিংস্র প্রাণিগণ মানব বুদ্ধির নিকট পরাজয় স্বীকার করিয়াছে ও করিতেছে, ইহা আমরা প্ৰতিনিয়তই দেখিতেছি। 瞬 মানবের এই অসীম ক্ষমতা প্ৰণিধানের বিষয় বটে। কিরূপে এই সসীম জীব এই অসীম ক্ষমতার অধিকারী হইতেছে তাহ কেহ ভাবিয়াছেন কি ? রাৰণ রাজা সম্বন্ধে শুনা যায় যে, তিনি তপস্যার প্রভাবে অমানুষিক শক্তি লাভ করিয়াছিলেন ; কিন্তু আমরা তপস্তায় কি দেখিতেছি? পূর্বকালের ন্যায় এখন একই * জীবনে দশহাজার বৎসরের তপস্যার নিদর্শন কোথায় দেখিতে পাই ? কিন্তু এদিকেও আবার এই সকল অমানুষিক শক্তি মানুষে দেখিলে আমাদিগের তপস্যার বিষয় চিন্তা করিতে মন স্বতই ব্যস্ত হইয়া উঠে ; মানবের এই অমানুষিক শক্তি বিস্ময়ের বিষয় সন্দেহ নাই ; কোন এক বিখ্যাত ইউরোপীয় ভাবুক বলিয়াছেন, "Atom as he is, his will is greater than these bruteforces; and as he rises above them, he smiles to see that nature like the old Proteus strisoues to terrify her assaivants, but yields her secrets if she be held fast and puestioned. ' অর্থাৎ মানব পরমাণু সদৃশ ক্ষুদ্র হইলেও মহা ক্ষমতাশালী ; নৈসৰ্গিক শক্তি নিচয়কে সে পরাভূত করে এবং যতই সে নিসর্গ শক্তির উপর আধিপত্য বিস্তার করে ততই দেখিতে পায় যে প্ৰাচীন গ্ৰীকদিগের দেবতা প্রোটিউসের ন্যায়। এই সকল নৈসৰ্গিক শক্তি নিচয় যাহারা তাহার ভয়ের কারণ বলিয়া প্ৰতীয়মান হইত, তাহারাই 曹性