জন্ম ও মৃত্যু
১০২
মুখে? নেবু কেটে দেবো এখন অনেক ক’রে, নারকোল—কুম্ড়ি আছে, কচুর শাক আছে।
এসব সত্যিই হীরু অনেকদিন যায় নি। যা যা সে খেতে ভালোবাসে, কুমী তার কিছুই বাদ দেয় নি। হীরু আশ্চর্য হয়ে গেল এতকাল পরেও কুমী মনে রেখেচে এ সব কথা।
খেতে বসে হীরু বললে—কুমী, ছেলেবেলা ভালো লাগে, না এখন ভালো লাগে?
—এ কথার উত্তর নেই হীরুদা। ছেলেবেলায় তোমরা সব ছিলে, সে একদিন ছিল। এখনও তা বলে খারাপ লাগে না—জীবনে নানারকম দেখা ভালো—নয় কি?
—কুমী, একটা কথার উত্তর দে। তোর সংসারের টানাটানি খুব?
—কে বললে একথা? মা বলেছিল সেই তো কাল ও বাজে কথা, জানো তো মা যত বাজে বকে। বুড়ো হয়ে মার আরও জিব আলগা হয়ে গেছে।
—কুমী, আমার কাছে সত্যি কথা বলবিনে?
—ঐ, তুমিও পাগলামি শুরু করলে। নাও, খেয়ে নাও—যত বাজে বকতে পারো—মা গো! দাঁড়াও, পায়েসটা আনি—কচুর শাক পড়ে রইল কেন অতখানি?···না সে হবে না—
দ্যাখ, কুমী, আমার কাছে বেশি চালাকি করিস্ নে। তোকে আর আমি জানি নে? কোদ্লার ঘাটে পায়ে খেজুর কাঁটা ফুটে গিয়েছিল, মুখে একটু রা করিস্ নি, জানতে দিস্ নি কাউকে—
—আবার?