১০৩
অরন্ধনের নিমন্ত্রণ
হীরু চুপ করে গেল। এতখানি ব’লে সে ভালো করে নি, ঝোঁকের মাথায় ব’লে ফেলেচে। কুমী যা ঢাকতে চায়, ও তা বা’র ক’রে কুমীর আত্মসম্মানে ঘা দিতে চায় কেন? ছিঃ—
কুমী বললে—আবার কবে আসবে হীরুদা?
—সত্যি কথা যদি শুনতে চাস্, আমার যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না কিন্তু।
—আবার বাজে বকতে শুরু করেচ হীরুদা! তোমার যা-কিছু সব সামনে, চোখের আড়াল হ’লে আর মনে থাকে না। আর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যত বাজে বকুনি—
—তুমি তো জানো না একটুও বাজে বকতে? আমি ইচ্ছে করলে থাকতে পারি নে ভেবেছিস্?
—হাঁ, থাকো না দেখি কাজকর্ম বন্ধ করে। বৌদি এসে চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যাবে না?
—আচ্ছা সে যাক, একটা কথার উত্তর তোকে দিতেই হবে। আমি যদি এখানে থাকি তুই খুশি হোস্?
উঃ, মা গো, মুখ বুজে খেয়ে নাও দিকি? কি বাজে বকতেই পারো?
হীরু দুঃখিত ভাবে বললে—আমার এ কথাটারও উত্তর দিবি নে কুমী? তুই এত বদলে গিয়েছিস্ আমি এ ভাবতেই পারি নে। আচ্ছা, বেশ।
কুমী হেসে প্রায় লুটিয়ে পড়তে পড়তে বললে—তোমার কিন্তু একটুও বদলায় নি হীরুদা, সেই রকম ‘আচ্ছা, বেশ’ বলা, সেই রকম কথায় কথায় রাগ করা। আচ্ছা, কি বলব বলো দিকি? তুমি জানো না ও-কথার কি উত্তর আমি দিতে