জন্ম ও মৃত্যু
৪৮
হাসিল। এই প্রশ্নের উত্তরে যে-ধরনের হাসা উচিত ছিল তেমন নয়—যেন নিজের প্রশংসা শুনিয়া বিনীত ও লাজুক হাসি হাসিতেছে। ছেলেমানুষ হইলেও বুঝিলাম হাসিটা অসংলগ্ন ধরনের।
বলিল— খিদে পেয়েছে।
আমার জাঠতুতো ভাই শীতল বাড়ির ভিতর হইতে চণ্ডীমণ্ডপে আসিয়া উঠানের দিকে চাহিয়া বলিয়া উঠিল—এই যে পরেশকাকা কোথা থেকে? কোথায় ছিলেন এতদিন?
লোকটি উত্তরে শুধু বলিল—খিদে পেয়েছে।
শীতল বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়া এক বাটি মুড়ি আনিয়া লোকটার কোঁঁচার কাপড়ে ঢালিয়া দিল। আমি অবাক্ হইয়া ভাবিতেছি লোকটা কে, এবং এত সম্মানসূচক সম্বোধন করিতেছে শীতল-দা অথচ বসিতে বলিতেছে না-ই বা কেন, এমন সময় লোকটা একটা কাণ্ড করিয়া বসিল। শীতলদা’র দেওয়া মুড়ির এক গাল মাত্র খাইয়া বাকিগুলি একবার রাইট্-য়্যাবাউট্-টার্ণ করিয়া ঘুরপাক খাইয়া উঠানময় কাদার উপর ছড়াইয়া ফেলিল—সঙ্গে সঙ্গে কি একটা দুর্বোধ্য ছড়া উচ্চারণ করিল গান করার সুরে—
গুগ্লি ঝিনুক ঝা—
খোদার চাল গামছায় বাঁধি
গুগ্লি ঝিনুক ঝা—
গুগ্লি ঝিনুক—
তখনও সে ঘুরপাক খাইতেছে ও ছড়া বলিতেছে, এমন সময় আমার জ্যাঠামহাশয় দুর্লভ রায়—তিনি অত্যন্ত রাশভারী ও