জন্ম ও মৃত্যু
৮৪
করলে। হীরুকে মণির বাপ-মা স্নেহ করতেন; তাঁরা বললেন—মেয়ে যদি ভালো হয় তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। তাঁরা চাকরি উপলক্ষে পশ্চিমে থাকেন, এ অবস্থায় স্বঘরের মেয়ের সন্ধান পাওয়াও কঠিন বটে। যখন সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ভালো মেয়ের—আর মণির বিয়ে যখন দিতেই হবে, তখন মেয়েটিকে দেখে আসতে দোষ কি?
কুমীর জ্যাঠাকে আগেই চিঠি লেখা হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা সমস্ত জিনিসটাকে অবিশ্বাস করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। বড় লোকের ছেলেকে জামাই করার মতো দুরাশা তাঁদের নেই। হীরুর যেমন কাণ্ড!
কিন্তু হীরু পূজোর ছুটিতে সত্যিই মণির এক জাঠতুতো দাদাকে মেয়ে দেখাতে নিয়ে এল।
কুমী এসে হীরুর পায়ের ধুলো নিয়ে নমস্কার করলে।
হীরু বললে—ভালো আছিস্ কুমী!
—এতদিন কোথায় ছিলে হীরুদা?
—চাকরি করচি যে পশ্চিমে জামালপুরে। সাত-আট মাস পরে তো দেশে ফিরচি।
—ও কাকে সঙ্গে করে এনেচ?
হীরু কেশে গলা পরিষ্কার ক’রে বললে—ও আমার এক বন্ধুর দাদা—
—তা এখানে এসেচে কেন?
—এসেচে গিয়ে ইয়ে—এমনি বেড়াতে এসেচেই ধরো—তবে—ইয়ে—
—তোমায় আর ঢোক গিলতে হবে না। আমি সব জানি, কেন ওসব চেষ্টা করচ হীরুদা?