পিতৃবিয়োগ স্বস্ত্ৰ `श्राष्ट्रउ 'शग्न नाई-७ई ८थ যদিও তাহার মতসকল সাধারণতঃ প্রায় সৰ্ব্বত্র গৃহীত হইয়াছিল, তথাপি তাহার মত সকলের সহিত বর্তমান শতাব্দীর মতসকলের স্পষ্ট প্রতিযোগিতা দৃষ্ট হইত। যেমন ক্রটস রোমান দিগের শেষ আদর্শ বলিয়া গৃহীত হইয়াছিলেন, সেইরূপ জেমস মিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ আদর্শ বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিলেন । তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীর চিন্তা ও মতসকল পরিবর্তিত ও পরিশোধিত করিয়া উনবিংশ শতাব্দীতে আনয়ন করিয়াছিলেন । উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে অষ্টাদশ শতাব্দীর বিরুদ্ধে যে ভীষণ অভূথান উপস্থিত হয়, জেমস মিল, তাহার ভাল মন্দ কিছুতেই সংশ্রত ছিলেন ন। অষ্টাদশ শতাব্দীকে একটা স্বমহৎ যুগ বলিয়া নির্দেশ করিতে পারা याब ।। ७ई যুগে অসংখ্য নির্ভীক ও দৃঢ়চিত্ত লোকের জন্ম হয়। জেমস মিল তাহাদিগের অন্যতম। তাহার রচনাও ব্যক্তিগত মত সকল-প্রভাবে তিনি তাহার সমসাময়িক বংশধরদিগের আলোক-কেন্দ্রস্বরূপ ছিলেন । ভল্টেয়ার যেমন ফান্সের দার্শনিকদিগের অগ্রণী ছিলেন, জেমস মিল, সেই রূপ ইংলণ্ডের দার্শনিক র্যাডিক্যালদিগের দলপতি ছিলেন । ইনি ভারতবাসিদিগের অতি অাদরের ধন—যেহেতু ইনিই সৰ্ব্বপ্রথমে ডাইরেকটরদিগকে সুমন্ত্রণ প্রদান দ্বারা ভারতবাসিদিগকে বণিকসম্প্রদায়ের অত্যাচার হইতে উন্ম ত্ত করিতে চেষ্টা করেন। তিনি এমন কোন বিষয় লিখেন নাই, যাহা তিনি নিজের অমূল্য চিন্তালোকে আলোকিত করেন নাই। নিজ চরিত্র ও মনের বলে অপরের মত ও উদেশ্য পরিবর্তিত করিয়া, স্বাধীনতা ও উন্নতির স্রোত পরিবৰ্দ্ধিত করিতে সক্ষম—র্তাহার ন্যায় ইংলণ্ডে তৎকালে এমন আর দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন না। এইরূপে পিতৃবিহীন হইয়া মিল, এখন হইতে উন্নতিক্ষেত্রে একাকী, বিচরণ করিতে লাগিলেন। তিনি জানিতেন যে তদীয় পিতা যে সকল গুণে জনসমাজে স্বকীয় আধিপত্য সংস্থাপিত করিয়াছিলেন, র্তাহাতে সে সকল সামাজিক গুণের অনেক অভাব আছে । সুতরাং পিতার জীবদ্দশায় তাহার কার্য্যক্ষেত্র যেরূপ সহজ ও পরিস্কৃত্ব ছিল এখন আর
