পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা T , দুর্ভাগ্যবশ Fঃ আমরা এই দুই প্রকায় স্বাধীনতারই , অস্বিাদে বঞ্চিত । •কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকাতেও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পূর্ণ বিকাশ প্রাপ্ত হয় নাই। অধিক কি অনেকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্বতন্ত্র আবশ্যকতা পৰ্য্যন্ত উপলব্ধি করিতে অক্ষম। এই জন্য মিল তদীয় “ লিবাটি’ নামক পুস্তকে এই বিষয়েরই সবিশেষ আন্দোলন করেন । তিনি এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা শুদ্ধ পুরুষেই আবদ্ধ রাখিয়া সস্তুষ্ট হন নাই । তিনি তদীয় নারীজাতি-বিষয়ক প্রবন্ধে সেই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নারীজাতির প্রতিও প্রয়োগ করিয়াছেন । পুরুষজাতি অনেক দিন হইতে অনেক বিষয়ে নারীজাতিকে অধীন করিয়া রাখিয়াছেন । তিনি অর্থগুনীয় যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করিয়াছেন যে এ প্রথা অস্বাভাবিক, ন্যায়বিগহিত ও স্ত্রীপুরুষ উভয় জাতিরই অবনতির কারণ। বেনথামই এই নূতন মতের প্রথম উদ্ভাবক। মিল তদীয় অসাধারণ প্রতিভার উজ্জ্বল বর্ণ প্রক্ষেণ দ্বারা ইহাকে নূতন আকারে জনসমাজে অবতারিত করেন । বেনথামের শিস মাত্রই এই নবোদ্ভাবিত মতের প্রতিপোষক ছিলেন । মিল ইহার শুদ্ধ প্রতিপোষক হইয়া সন্তুষ্ট হন নাই, তিনি অধিকতর উৎসাঙ্গ ও অধিক তর অধ্যবসায়ের সহিত এই মত কার্য্যে পরিণত করার চেষ্টা করিয়া ছিলেন । মিল তদীয় নারীজাতিবিষয়ক প্রবন্ধে বিয়োজন (Divorce) সন্থন্ধে কোন চূড়ান্ত নিয়ম নির্দেশ করেন নাই বলিয়া অনেকে তদীয় প্রবন্ধকে নিতান্ত অসম্পূর্ণ বলিয়া মনে করেন। এক দিন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি র্তাহাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি এইরূপে তাহার উত্তর দিয়াছিলেন—“ যত দিন না আমরা এবিষয়ে নারীজাতির নিজের মত জানিতে পারিতেছি, এবং যতদিন ন বৈবাহিক প্রথা স্ত্রী ও পুরুষ উভয়জাতির পূর্ণ লাম্যের সহিত পরীক্ষিত হইতেছে, ততদিন এবিষয়ে কোন চূড়ান্ত মীমাংসায় উপনীত হওয়া অসম্ভব”। মিলের এই বাক্যে অবিচলিত ধৈর্য্য ও অখণ্ডনীয় যুক্তি প্রকাশ পাইতেছে। অসীম ধৈৰ্য্যের সহিত অবিচলিত আশা –মিলের চরিত্রের একটা বিশেষ লক্ষণ ছিল । গম্ভীর ও ভাব-প্রবণ প্রকৃতির লোকের জীবনে