পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজতত্ত্ব । :ר ס পুরুষ স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে অকাতরে প্রাণ বিসর্জন করিতেছে, তখন শিক্ষা অভ্যাস ও হৃদয়ভাবের পরিমার্জন বলে একজন প্রাকৃত লোক যে জনসাধারণের উপকারার্থ ভূমিকৰ্ষণ ও বস্ত্রবয়ন প্রভৃতি কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইবে ইহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? এরূপ অবস্থ৷ যে কতদিনে ঘটবে তাহা তাহারা বলিতে পারিতেন না ; কিন্তু পুরুষপরম্পরাব্যাপী অবিশ্রান্ত শিক্ষণ বলে মনুষ্য যে অল্পে অল্পে এরূপ অবস্থায় আনীত হইতে পারে তাহা তাহারা সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করিতেন । সাধারণ शक्रल যে অধুনা জনসাধারণের কাৰ্য্যের প্রবৃত্তিনিয়ামক নহে, তাহার কারণ কেবল প্রতিকুল শিক্ষা ও অভ্যাস”। সমাজশৃঙ্খলার বর্তমান অবস্থায় মানুষ প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেবল নিজের ও নিজ পরিবারসম্বন্ধীয় বিষয় লইয়াই ব্যতিব্যস্ত ; সাধারণের হিতার্থে অতি অল্প সময়ই ব্যয়িত করিতে শিখে । স্বার্থপরতার ন্যায় সাধারণ মঙ্গলেছে। দ্বারা ও কার্য্যে প্রবর্তিত হইয়া এবং লজ্জার ভয় ও গৌরবম্প হায় প্রণোদিত হইয়া প্রাকৃত মমুযাও কত অদ্ভূত অবদানপরম্পরা ও কত অদ্ভুত আত্মত্যাগপ্রদর্শন করিতে পারে তাহার সংখ্যা করা যায় না । আধুনিক সমাজখৃঙ্খলার প্রায় সমস্ত নিয়মাবলীই স্বাথপতার উৎসাহ দিয়া থাকে । এই জন্য বর্তমান সময়ে স্বার্থপরতা মনুষ্যের প্রকৃতির সহিত এতদূর বদ্ধমূল হইয়াগিয়াছে যে, আপাততঃ যেন বোধ হয় ইহার উত্তেজনা ব্যতীত মনুষ্যসাধারণ কখন কোন সাধারণ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে পারে না । কিন্তু তুহো সত্য নহে। কারণ পুরাকালীন সাধারণতন্ত্ৰ সকলে,— যৎকালে প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিক অসংখ্য সাধারণ কার্য্যে সৰ্ব্বদা আহত হইতেন,--অস্বার্থপরতার ভূরি ভূরি নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। যাহা হউক তথাপি মিল ও টেলরপত্নী ইচ্ছা করিতেন না, যে স্বার্থপরতার পরিবর্তে কোন উৎকৃষ্টতর প্রবৃত্তিনিয়ামক উদ্দেশ্য সংস্থাপিত হওয়ার পূৰ্ব্বে, সামাজিক কাৰ্য্যপ্রণালী হইতে স্বার্থপরতার প্রলোভন একেবারে উঠিয়া যায়। তাহারা বর্তমান সমাজশৃঙ্খলাকে শুদ্ধ, সাময়িক বন্দোবস্ত মাত্র বলিয়া বিবেচনা করিতেন । সুতরাং ని