পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অন্তধান। ১০৭ মিল স্থির করিলেন যে এখন হইতে ভারতবর্ষে অরাজকতা অতিশয় প্রবল হইবে। এই সকল কারণেই তিনি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অস্তিত্ব রক্ষা করিবার জন্য অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহার প্রতিনিধি শাসনপ্রণালী নামক পুস্তকের পরিশিষ্টে ও ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর স্বীপক্ষ্যে তল্লিখিত আবেদন পত্রাদিতে তাহার চেষ্টা বিশেষরূপে পরিব্যক্ত রহিয়াছে । যাহাহউক এই ঘটনায় তাহার নিজের বরং উপকারই হইল। বিদায় দানের সময় গবর্ণমেণ্ট ক্ষতিপূরণস্বরূপ তাহাকে প্রচুর অর্থ প্রদান করিলেন । লড ষ্টানলে রাজ্ঞীর অধীনে সৰ্ব্বপ্রথম ভারতবর্ষের সেক্রেটারি অব ষ্টেটের পদে অভিষিক্ত হইলেন। লাডষ্টানলে ভারতবর্ষীয় সভায় আসন গ্রহণ করিবার জন্য মিল কে অনুরোধ করেন। কিছুদিন পরে সভার সভ্যগণও পুনৰ্ব্বার ঐ প্রস্তাব করেন । কিন্তু দুইবারই মিল অস্বীকৃত হন। রাজ্ঞীর অধীনে ভারতবর্ষের শাসন সম্বন্ধে যে সকল নিয়মাবলী প্রতিষ্ঠিত হয়, মিল, দেখিলেন তাহ হইতে কোন শুভফলের আশা করা যাইতে পারে না । সুতরাং রাজ্ঞীর অধীনে কার্য্য স্বীকার করিয়া তিনি ভারতের কোন মঙ্গল সাধন করিতে পারিবেন এরূপ আশা নাই ; অথচ তাহার অমূল্য সময় বৃথা অতিবাহিত হইবে। তাহার অনুমান ব্যর্থ হয় নাই । রাজ্ঞীর অধীনে ভারতবর্ষের শাসনপ্রণালী পর্য্যালোচনা করিয়া এই অস্বীকার জন্য তাহাকে কখনই অনুতাপ করিতে হয় নাই । তাহার এই কার্যালিপ্ত জীবনের অব্যবহিত পূৰ্ব্ববর্তী দুইবৎসর কাল ধরিয়া তিনি ও তদীয় পত্নী উtহার “লিবাটি...” নামক স্বাধীনতা বিষয়ক গ্রন্থের রচনায় নিমগ্ন ছিলেন। মিল, ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে উক্ত বিষয়ে একটা ক্ষুদ্র রচনা করেন । ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের জানুয়াদী মাসে রোমনগরীর ক্যাপিটলের সোপানমার্গে আরোহণ কালে, এই প্রবন্ধকে একখানি স্বতন্ত্র গ্রন্থরূপে পরিণত করিবার ইচ্ছা তদীয় মনে সৰ্ব্বপ্রথমে সমুদিত হয়। মিলের আর কোন গ্ৰন্থই এই খানির ন্যায় এত সতর্কতার সহিত রচিত ও পরিশোধিত হয় নাই। তদীয় অন্যান্য গ্রন্থের ন্যায় এখনির ও