পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিল একাকী । > ఆ నా ਚੋਲ ਭਰ গুণের সমাবেশ ছিল। এরূপ সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন ও পতিপরায়ণ সহধৰ্ম্মিণীর বিয়োগে মিলের ন্যায় মনীষীরও মন যে বিচলিত হইবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য কি ? পত্নীবিয়োগের পর মিল, সংসারমুখে জলাঞ্জলি দিয়৷ তদীয় সমাধিসন্নিধানে একটা ক্ষুদ্র কুটার নিৰ্ম্মাণপূর্বক তথায় অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। পত্নীর অনন্যপূৰ্ব্বাবস্থাজাত একমাত্র দুহিত। সেই নির্জন প্রদেশে তাহার একমাত্র সহচরী ছিলেন । ইনিই সেই বিয়োগিনী অবস্থায় উহার একমাত্র অবলম্বন ছিলেন । ইনিই সেই বিয়োগিনী অবস্থায় তাহার একমাত্র সাত্মনাস্থল হইয়া ছিলেন। এই ক্ষুদ্র কুটারে পত্নীবিয়োগেও তিনি কল্পনাবলে তৎসাক্ষাৎ কার লাভ করিতে লাগিলেন। যে সকল মহৎ কাৰ্য্য র্তাহার পত্নীর জীবনের লক্ষ্য ছিল, সেই সকল কাৰ্য্য র্তাহার জীবনেরও একমাত্র লক্ষ্য হইয়া উঠিল । যে সকল কার্য্যে র্তাহার পত্নী অনুমোদন করিতেন, যে সকল কাৰ্য্যে তাহার পত্নীর সহানুভূতি ছিল, এবং যে সকল কার্যের সহিত তদীয় পত্নী অনিবার্য রূপে সংশ্লিষ্ট হইয়া পড়িয়াছিলেন, সেই সকল কার্য্যেই জীবনের অবশিষ্টকাল অতিবাহিত করিবেন—মিল, ইহা স্থির সঙ্কল্প করিলেন। নীতির যে আদর্শ তদীয় পত্নীর অনুমোদিত ছিল, সেই নৈতিক আদর্শ দ্বারাই জীবন নিয়মিত করিবেন, ইহা তাহার স্থির সঙ্কল্প হইল। ইত্যাদি নানা উপায়ে পত্নীর স্মৃতি সঞ্জীবিত রাখা মিলের জীবনের একমাত্র ধৰ্ম্ম হইয়া উঠিল । যে স্বাধীনতাবিষয়ক গ্রন্থ বিশেষরূপে র্তাহাদিগের উভয় মস্তিষ্কের ফল, সেই “লিৰাটি” নামক গ্রন্থের মুদ্রাঙ্কন ও প্রকাশন এবং পত্নীর নামে তাহার উৎসর্গীকরণ পত্নীবিয়োগের পর মিলের সর্বপ্রথম কাৰ্য্য হইল । তিনি ইহার কোন স্থানে পরিবর্তন, বা ইহার কোন স্থানে কোন न्र्डन বিষয়ের সংযোজনা করিলেন না। যদিও ইহা তদীয় পত্নীর । হস্তে শেষ সংস্করণ পাইলে উৎকৃষ্টতর হইত সন্দেহ নাই, তথাপি মিল নিজ হস্তে সেই অভাবের পূরণ করিতে কখন ইচ্ছা করেন নাই । এই গ্রন্থের এমন একটা বাক্য নাই, যাহা তাহারা দুইজনে একত্র তন্ন তন্ন করিয়া দেখেন নাই ; ইহার এমন একটা স্থান নাই যাহা 6