००० छन् ষ্ট য়াট মিলের জীবনবৃত্ত । তাহারা দুই জনে নানা প্রকারে পরীক্ষা করিয়া দেখেন নাই ; ইহাতে এমন একটী চিস্ত বা ভাব নাই, যাহা তাহার দোষ স্পর্শ শূন্য করিতে চেষ্টা করেন মাই। এই সকল কারণে এই গ্রন্থখানি যদিও তদীয় পত্নীর শেষ পুনঃপর্য্যবেক্ষণ প্রাপ্ত হয় নাই, তথাপি ইহা রচনা বিষয়ে মিলের যাবতীয় গ্রন্থ অপেক্ষ যে উৎকৃষ্টতর হইয়াছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই। ইহাতে যে সকল চিন্তা সন্নিবেশিত আছে, তাহার কোন শুলি তাহার এবং কোন গুলি তদীয় *ङ्गैौंद, उत्रिर्षग्र निर्मब इ७ब्र সুকঠিন । তবে ইহার চিন্তাম্রোতের গতি যে তদীয় পত্নী কর্তৃক নিযন্ত্রিত হইয়াছিল, তাহাতে আর সংশয় নাই । আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে তাহাদিগের দুইজনেরই মনে এই বিষয়ে একইরূপ চিন্তাস্রৈাত প্রবাহিত হইত। এই বিষয়ে তাহার মনে যে চিন্তাম্রোত প্রবাহিত হইত, মিল তাহ পত্রে অঙ্কিত করিতেন। তদীয় পত্নী সেই পত্রা ঙ্কিত চিন্তাম্রোতের গতির অনুসরণ করিতেন এবং গতিভ্রংশ দেখিল তাহার সংশোধন করিয়া দিতেন। কখন কখন মিলের মনের গতি এরূপ হইত, যে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক অতিশাসনের অনুমোদন করিতেন ; কখন বা র্তাহার র্যাডিকালত্ব ও লোকতন্ত্রিত্বপ্রবণত। কমিয়া যাইত। এই সকল মতিভ্রংশের সময় তদীয় পত্নীই তাঁহাকে প্রকৃত পথে রাখিতে চেষ্টা করিতেন। আত্মাভিমান মিলের এত অল্প ছিল, যে তিনি সকলের নিকট হইতেই শিক্ষা গ্রহণ করিতেন এবং সকলেরই মতের যথোচিত সম্মান করিতেন । এইজন্য সময়ে সময়ে এরূপ ঘটিত, যে তিনি অপরের মতের সম্মান রক্ষা কবিতে গিয়া নিজের মতকে কথঞ্চিৎ সঙ্কচিত করিতেন। এই শঙ্কট হইতে তদীয় পত্নীই তাহাকে সতত রক্ষা করিতেন। কোন মতের কতদূর সম্মাননা .করা উচিত, এবং পরের মতের সন্মাননা রক্ষা করিবার জন্য নিজের মত কত পরিমাণে সঙ্কচিত করা উচিত, তদীয় পত্নীই তাহার মীমাংস করিতেন । মিল “নায়দৰ্শন” ব্যতীত অন্যান্য যত গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন, তৎসমুদয়ের মধ্যে তদীয় স্বাধীনতাবিষয়ক গ্ৰন্থখানিরই দীর্ঘজীবী হই
