পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--১২২-জন ধনুয়াট মিলের জীবনবৃত্ত । সংক্রান্ত। তাহারা ভাবিয়াছিলেন যে উৎপীড়িত ষ্টেটু সু সকলের অধিবা সীরাই স্বাধীনতার জন্য এই সমর উত্থাপিত করিয়াছে ; এরূপ সমরের সহিত তাহাদিগের চিরদিনই সহানুভূতি ছিল! ইংলণ্ডের যে কতিপয় মনীষী দাসত্ববিরোধী উদীচ্যদিগের সহিত সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলেন, মিল, তাহাদিগের অন্যতম। মিল, দাসত্বের প্রক্তিবাদে সেই মনীষীদিগের অগ্রণী ছিলেন একথা আমরা বলিতে পারিন । মিষ্টার হিউজ এবং মিষ্টার লড়লো-এই প্রায়ুঃস্মরণীয় মহাত্মাদ্বয়ই সৰ্ব্বপ্রথমে তাহাদিগের তেজস্বিনী লেখনী দ্বারা এই জঘন্য প্রথার প্রতিবাদ করেন। বাগিাকশ্রেষ্ঠ মিষ্টার ব্রাইট অমানুষী বক্তৃতা দ্বারা পূৰ্ব্বোক্ত মহাত্মান্বয়ের অনুসরণ করেন। মিল ও তাছাদিগের অনুগমন করিবেন মনে করিতেছিলেন, এমন সময় একটী আকস্মিক ঘটনা উপস্থিত হইয়া তাহার সমস্ত সঙ্কল্পের বিপৰ্য্যাস করিয়া দিল । ১৮৬১ খৃষ্টাব্দের শেষ ভাগে কতিপয় দক্ষিণাত্য দূত একখানি ব্রিটিস জাঙ্কাজে আসিতেছিলেন । এমন সময় এক জন উদীচ্য কৰ্ম্মচারী তাহাদিগকে ‘ধূত করেন । এই সংবাদে সমস্ত ইংলণ্ড ক্রোধে প্রঞ্জলিত কষ্টয় উঠেন। ইউনাইটেট ষ্টেট সের সহিত ইংলণ্ডের যুদ্ধ অনিবাৰ্য্য হইয়া উঠিল। চতুর্দিকে যুদ্ধের আয়োজন হইতে লাগিল। এরূপ অবস্থায় আমেরিকার স্বীপক্ষ্যে কোন কথা লিখিত ব কথিত হইলে শ্ৰোতৃবর্গ পাইবার তত সস্তাবনা নাই দেখিয়া, মিল, কিছুদিন নীরব রছিলেন। উদীচ্য আমেরিকানদ্বিগের এই কাৰ্য্য গহিত হইয়াছে,— মিল এই সৰ্ব্ববাদিসম্মত মতের অনুমোদন করিয়াছিলেন । সুতরাং উদীচ্য আমেরিকার যে ইংলণ্ডের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত এ বিষয়েও তিনি সাধারণের সহিত ঐকমত্য অবলম্বন করিয়াছিলেন । আমেরিকা অবশেষে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে বাধ্য হইলেন। , এদিকে ইংলণ্ডে যুদ্ধের উদ্যোগও নিবৃত্ত হইল। এই সুযোগে মিল ও ১৮৬২ থষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে ফেজাসম্যাগাজিনে আমেরিকার যুদ্ধবিষয়ে একটা প্রবন্ধ প্রকাশিত করিলেন । - .যে সকল লিবারেল মতাবলম্বীর প্রতিপক্ষদিগের মতস্লোতে