পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহারী • যুক্তির আদেশ অপেক্ষা কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের আদেশ অলঙ্ঘনীয় বলিয়া মনে করিতেন ; সুতরাং যুক্তি প্রদর্শন দ্বারা তাহাদিগের কর্তব্যজ্ঞানের উপদেশের ভ্রান্তত প্রদর্শন করিতে গেলে তাহারা খঙ্গ হস্ত হইয়া উঠিতেন।.মানবজাতির ব্যক্তিগত, জাতিগত ও লিঙ্গগত প্রভেদ যে অবস্থার প্রভেদে জন্মিয় থাকে এ কথা তাহারা স্বীকার করেন না । তাহাদিগের মতে মানবচরিত্রের বৈচিত্র্য প্রকৃতিসিদ্ধ— অবস্থার ফল নহুে। প্রকৃতিসিদ্ধ ; স্বতরাং পরিবর্তাসহ। সামাজিক বা রাজনৈতিক সংস্কারক যেf ੋਜ সংস্কারের অনুষ্ঠান করিবেন, যে কোন নূতন বিষয়ের প্রস্তাব করিবেন, তাহাতেই এই সম্প্রদায়ের লোকের নিকট হইতে,বাধা ও আপত্তি প্রাপ্ত হইবেন। ভাহাদিগের মতে সমাজ, নীতি ও রাজনীতি বিষয়ে যে সকল সংস্কার বহুদিন হইতে চলিয়া আসিতেছে তাহা স্বতঃপ্রবৃত্ত ও স্বতঃসিদ্ধ। যাহা স্বতঃসিদ্ধ তাহ প্রমাণ-সক্ষেপ নহে । সুতরাং সে গুলির আবশ্যকতা বিষয়ে কোন প্রমাণ চাহিলে র্তাহার ক্রোধে জলিয় উঠেন। দুই একটা উদাহরণ দিলেই পাঠকগণ বুঝিতে পারিবেন। প্রথমতঃ ঈশ্বর সৰ্ব্বশক্তিমান ও অনন্ত দয়ার আধার’—এই সংস্কার অনেক দিন হইতে চলিয়া আসিতেছে। কেহ এই চিরক্কঢ় সংস্কারের প্রতিবাদ করিয়া বলিলেন—ঈশ্বর যদি সৰ্ব্বশক্তিমান, ও দয়ার আধার হইবেন, তবে জগতে এত কষ্ট, এত দুঃখ, এত শোক তাপ দেখিতে পাওয়া যায় কেন ? যাহার হৃদয় অনন্ত দয়ার ভাণ্ডার, তিনি কখন শক্তি থাকিতে পরের কষ্ট ও পরের দুঃখ দেখিতে পারেন না। সুতরাং তিনি যখন পরের দুঃখ অবলীলাক্রমে দেখিতেছেন, তখন হয় তাহার শক্তি নাই, নয় দয়া নাই। এরূপ প্রতিবাদের বিপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করিতে অসমর্থ হইয়া এই সম্প্রদায়ের লোকের, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অকারণে বদ্ধপরিকর হইবেন। দ্বিতীয়তঃ– ‘আমরা যখন কোন বস্তুই অকর্তৃক দেখিতে পাই না, তখন এই প্রত্যক্ষ, পরিদৃশ্যমান জগৎ যে অকর্তৃক তাহা বোধ হয় না”—বহুদিন হইতে এই রূপে এই জগতের স্রষ্টার কল্পনা হইয়া আসিতেছে। কিন্তু যখন এইরূপে কল্পিত জগৎ স্রষ্টীর বিরুদ্ধে এই আপত্তি উখিত হয়,- যে