পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুর্গস্বরূপ । মিল দেখিলেন যে সেই দুর্গ সমূলোৎপাটিত করিতে না পারিলে আর স্বভাবজ্ঞান মন্ত তিরোহিত হইবে না। তিনি দেখিলেন যে এই দুই শ্রেণীর দশনশাস্ত্রের শুদ্ধ মৰ্ম্ম সাধারণসমক্ষে ধারণ করিলেই পৰ্য্যাপ্ত হইবে না ; এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর তর্ক বিতর্ক উত্থাপিত করিতে হইবে। এই জন্য তিনি স্থির করিলেন যে প্রথম সম্প্রদায়ের অধিনায়ক হ্যামিণ্টনের দর্শনের ভ্রম সকল তন্ন তন্ন করিয়া দেখাইয়া দিতে হইবে, হ্যামিণ্টন, এক্ষণে দার্শনিক জগতে যে অপ্রতিদ্বন্দ্বি যশ লাভ করিতেছেন, তিমি যে সে অতুল যশের উপযুক্ত নন, তাহা স্পষ্টাক্ষরে বুঝাইয়া দিতে হইবে। এই জন্যই তিনি হ্যামিণ্টনের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করিলেন । o মিলের সমালোচনা প্রকাশিত হইল। অমনি চতুর্দিকে হুলস্থল পড়িয়া গেল। তিনি হ্যামিণ্টন দর্শন হইতেই নানা স্থল উদ্ধৃত করিয়া তাহাদিগের পরস্পরবিরোধিতা দেখাইয় দিলেন । তিনি যথাযথ বর্ণন করিতেও বিন্দুমাত্র ভীত ও সঙ্কচিত হন নাই, অথচ হ্যামিন্টনের প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করিতেও ক্রট করেন নাই । মিল, জানিতেন যে অজ্ঞানবশতঃ তিনি যদি কোন কোন স্থলে হ্যামিণ্টনের প্রতি অন্যায় আক্রমণ করিয়া থাকেন, তাহার অসংখ্য শিষ্য ও স্তুতিবাদকের অবশ্যই সেই সেই স্থলে তাহার ভ্রম সংশোধন করিয়া "দিবেন। বাস্তবিক ও তাঁহাই ঘটিল। মিলের সমালোচনা প্রচারিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই হ্যামিণ্টনের অসংখ্য শিষ্য ও স্তুতিবাদকের মিলের সমালোচনার প্রতিবাদ করিয়া অসংখ্য প্রস্তাব লিখিলেন । র্তাহারা মিলের যে সকল ভ্রম প্রমাদ দেখাইয়া দিলেন, তাহা সংখ্যায় অতি অল্প এবং মূল্যে অতি সামান্য । কিন্তু সংখ্যায় অতি অল্প ও মূল্যে অতি সামান্য হইলেও, মিল, দ্বিতীয় সংস্করণকালে সেই সকল ভ্রম প্রমাদের সংশোধন করিয়া দিলেন। যাহা হউক সব দিক দেখিলে এই সমালোচনায় অনেক কায হইয়াছিল বলিতে হইবে। এই সমালোচনায় হ্যামিণ্টনের দর্শনের দুৰ্ব্বলাংশ সকল সাধারণ সমক্ষে প্রদশিত হয় ; দার্শনিক জগতে তাহার অপ্রতিদ্বন্দ্বি যশ উপযুক্ত সীমায়