ురి ఆ জন্ম ষ্টয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত । কাৰ্য্যপ্রণালীর সংস্রবে আসিবার মিলের একটা প্রধান নিয়ম ছিল। অপরের দ্বারা যে সকল বিষয় স্বসম্পন্ন হইবার সম্ভাবনা ছিল, সে সকল বিষয় তাহার প্রিয়তম হইলেও, তিনি তাহাতে হস্তক্ষেপ করা অনাৰ শ্যক বলিয়া মনে করিতেন। কিন্তু যে সকল বিষয়ে লিবারেল মতা । লম্বী ব্যক্তিরাও র্তাহার সহিত ভিন্নমত বা উদাসীন, সেই সকল বিষয় সমর্থনের নিমিত্তই তিনি বদ্ধ-পরিকর হইতেন । এই সময় প্রাণদণ্ডের বিরুদ্ধে পার্লিয়ামেণ্টে যে আন্দোলন উপস্থিও হয়, মিল প্রাণপণে তাহার পক্ষ সমর্থন করেন। পালিয়ামেণ্টে স্ত্রীজাতির প্রতিনিধি প্রেরণ ও ব্যক্তিগত প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে তিনি যে মত প্রকাশ করেন তাহ তৎ কালে পালিরামেন্টের সভ্যগণ কর্তৃক উহার নিজের খেয়াল বলিয়া । বিবেচিত হয়। কিন্তু পালিয়ামেণ্টের সভ্যগণ অচিরাং জানিতে পারেন যে স্ত্রীজাতির প্রতিনিধি প্রেরণপ্রস্তাব র্তাহার খেয়াল মাত্র নহে। কারণ মিল, পালিয়ামেন্টে এই প্রস্তাব উত্থাপিত করিলেই, রাজ্যের চতুর্দিক হইতে তাহার প্রস্তাবের অনুমোদন-সূচক প্রতিধ্বনি আসিতে লাগিল ; স্বতরাং এ প্রস্তাব যে সময়োপযোগী তাহ সম্পূর্ণরূপে প্রমাণীকৃত হইল। মিল, যে বিষয় শুদ্ধ নৈতিক ও সামাজিক কৰ্ত্তব্য বলিয়া নিঃস্বার্থ ভাবে অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহ। তাহার স্বার্থসিদ্ধিতে পরিণত হইল । তিনি ভাবিয়াছিলেন যে এ প্রস্তাব উত্থাপিত করিয়া তিনি যে শুদ্ধ পালিয়ামেন্টেরই বিরাগ-ভাজন হইবেন এরূপ নহে, দেশের সমস্ত লোকের উপহাসের পাত্র হইবেন। এরূপ জানিয়াও তিনি শুদ্ধ কর্তব্যাকুরোধে এ প্রস্তাব উত্থাপিত করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে এই প্রস্তাবে তিনি দেশের লোকের অপ্রিয় ন হইয়া অধিকতর প্রিয় হইয়া উঠিলেন । ইংলণ্ডের স্ত্রীসমাজের . চিরকৃতজ্ঞতার পাত্র হইলেন। o - রাজধানীর সভ্য বলিয়া তাহার উপর আর একটা গুরুতর কর্তব্যভার ন্যস্ত হইয়াছিল ; রাজধানীতে মিউনিসিপাল শাসনপ্রণালী,প্রতিষ্ঠাপিত করিবার জন্য তাঁহাকে বিশেষ চেষ্টা করিতে হইয়াছিল ; কিন্তু এই বিষয়ে হাউস আৰু কমন্সের এতদূর ঔদাসীন্য ছিল, যে তিনি একজন
