পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন ধৰ্ম্মপ্রবর্তকের, হৃদয়ই বা ইহাতে উদাসীন ছিল ? বুদ্ধ খ্ৰীষ্ট প্রভৃতির জীবনবৃত্ত পাঠ কর, দেখিবে, যে জগং হইতে শোক দুঃখ ভ্রাস্তি দূর করাই তাহাদিগের ধৰ্ম্মপ্রচারের উদ্দীপনা ও উদ্দেশ্য ছিল । মানবজীবনমুলভ জরা মরণ-দারিদ্র্যাদি দুঃখদর্শনে বুদ্ধের হৃদয় এতদুব অভিভূত হইয়াছিল,যে তিনি রাজপ্রাসাদের ক্ষণিক সুখে জলাঞ্জলি দিয়া বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়াছিলেন । জগতের অত্যাচার উৎপীড়নে ও উৎপীড়িতদিগের অজ্ঞজলে খ্ৰীস্টের হৃদয় এতদূর কাতর হুইয়াছিল, : তিনি বলিয়াছিলেন । যাহারা মরিয়াছে তাহারাই সুখী এবং যাহাবা জন্মে নাই তাহারা আরও সুর্থী। যাহারা জগতে দুঃখ নাই বলিয়৷ তাপনাদিগের বৃদ্ধিকে প্রতারিত করিতে পারেন ; যাহারা ষ্টোয়িকদিগের “ছঃপ অশুভ নয়” এই দুজ্ঞে য় মত বিশ্বাস করিয়া থাকেন ; র্যাহারা—যে অনন্ত দয়াময় ও সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের আমোদ ও মুখের নিমিত্ত তদীয় ইচ্ছা ও আদেশে অগণিত শোকদুঃখ ও পাপের স্রোতে জগৎ আপ্লুত হইতেছে—সেই ঈশ্বরের নৈতিক উৎকর্ষ পরিচিস্তনে অনন্ত বিমল সুখ অনুভব করিতে পারেন ; অথবা যাহারা চারাক, সলমন প্রভৃতির ন্যায় শুদ্ধ পানভোজনাদি ইন্দ্রিয় সেবাতেই জীবনের মুখ্য লক্ষ্য পরিতৃপ্ত করিতে সমর্থ; তাহারাই মিলের জীবনকে শুষ্ক বা নীরস এবং মিল প্রদর্শিত মুখের আদর্শকে অগম্য বা দুরধিগম্য কল্পনামাত্র বলিতে পারেন ; কিন্তু য'tহাদিগের বুদ্ধিবৃত্তি ও হৃদর্ত্তি এতদূর পরিপুষ্ট ও পরিমার্জিত হইয়াছে, যে র্তাহার কল্পিত স্বৰ্গীয় মুখে বা ইন্দ্রিয়-মুখে পরিতৃপ্ত হইতে, অথবা বাস্তব দুঃথকে শুভ বলিয়া স্বীকার করিতে অক্ষম, তাহারা মিলের জীবনকে, শুষ্ক ૭ নীরস ও তৎপ্রদর্শিত সুখের আদর্শকে অগম্য বা দুরধিগম্য কল্পনামাত্র বলিয়া মনে করেন না । মিল জগতে আমোদের অনন্ত্য ও আতিশয্য সম্ভবপর বলিয়া মনে করিতেন না। নিরবচ্ছিন্ন আমোদ ও নিরস্তুর চিত্তের উদ্দীপন সম্ভবপর না হইলে ও যে অনন্ত শাস্তি ও অনন্ত চিত্ত প্রসাদ ব্যক্তিমাত্রেরই অধিগম্য তাহা তিনি মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতেন। এই অনস্ত