পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলের হৃদয় আনলে পুলকিত হইল। ভ্রমণকালে মিল, সৰ্ব্বপ্রকার প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক বিষয়ে গভীর অনুরাগ ও জীবন্ত উৎসাহ দেখাইতে লাগিলেন। তিনি আভিগননের চতুর্দিকুস্থ রোমরাজ্যের ভগ্নাবশেষ অবলোকন করিয়া প্রাচীন রোম ও মধ্যযুগ সম্বন্ধে অনেক ঐতিহাসিক কথার অবতারণা করিলেন। তাহার সহিত পরিভ্রমণ কালে তদীয় হৃদয়গ্রাহী কথোপকথনে প্রত্যেক স্থান যেন নব শোভা ধারণ করিত। একদিন আমরা তাহার সহিত ফান্সের কোন পৰ্ব্বতের উপরি শিখরমালায় আরোহণ করিলাম। কি অধিত্যক প্রদেশে, কি গৃহাভ্যন্তরে, কি বৃক্ষলতাদি-পরিশোভিত পৰ্ব্বতারণো যে স্থানে পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন, সেই স্থানেই তিনি নানাবিষয়ে আমাদিগের কৌতূহল উদ্দীপিত ও পরিতৃপ্ত করিতে লাগিলেন। কখন পুরাবৃত্ত, কখন উদ্ভিজ্যবিদ্যা, কখন বা ভূতত্ববিদ্যা তাহার কথোপকথনের বিষয় হইতে লাগিল । এইরূপে দিব বসান হইল এবং আমরা পৰ্ব্বত হইতে অবতরণ করিলাম। অবিশ্রান্ত পথভ্রমণে ও অবিচ্ছিন্ন কথোপকথনেও তিনি বিন্দুমাত্র ক্লান্ত হইলেন না এবং আমরাও তদীয় সাহচর্য্যের মধুরতায় সমস্ত পথশ্ৰম ভুলিয়া গেলাম"। আর একজন লিথিয়াছেন “ আমরা একদিন মিলের সহিত ভ্রমণে নির্গত হইয়াছিলাম। তিনি ভ্রমণকালে অবিশ্রান্ত যত্ন ও আদরের সহিত কখন কাহাকে দুই একটী দুলৰ্ভ ফুল, কখন কাহাকে পৃথিবীর স্তরপুঞ্জের সংগঠন, কখন বা কাহাকে প্রাচীন নগরীসকলের ভগ্নাবশেষের গঠন-কৌশল দেখাইন্তে । লাগিলেন ; এইরূপ করিতে করিতে তিনি যখন আমাদিগকে একটী পৰ্ব্বতের শিখরদেশে আনয়ন করিলেন, তখন সকলেই দেখিতে পাইল, আনন্দ যেন উচ্ছলিত হইয় তাহার গণ্ড বহিয়া পড়িতে লাগিল । এই পৰ্ব্বতের অধিত্যক প্রদেশে প্রস্তর কাটিয়া একটা নগরী ও লেব নামক একটা দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয় । আমরা যখন সেই অধিত্যক প্রদেশে আরোহণ করলাম তখন দেখিলাম যে সেই তুর্গ ও নগরী প্রায় জনশূন্য। সেই দিবাবসানে এই নির্জন গিরিশৃঙ্গ যে কি রমণীর শোভা ধারণ করিয়াছিল এবং সেই অপূৰ্ব্ব শোভা সম্প্রদর্শনে মিলের হৃদয় যে তৎকালে