পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতে হইয়াছিল। পুস্তক লিখিয়া যাহা উপার্জন করিতেন তাহাতে তাহার কোন মতে চলিত না । তিনি যেরূপ স্বাধীন লেখক ছিলেন তাহাতে লোকানুরঞ্জন জন্য নিজ মতের বিরুদ্ধে লেখা তাহার পক্ষে নিতান্ত অসম্ভব হইত। নুতন নূতন মত প্রকাশ করাতে বরং তিনি লোকের অপ্রিয় হইয়া উঠিতেন। সুতরাং তদ্রচিত গ্রন্থ সকল লোকপ্রিয় না হওয়ায় তাহার আয়েরও অতিশয় সঙ্কীর্ণত জন্মিল। কিন্তু তিনি ইহাতেও এক দিনের জন্য পরিশ্রমবিমুখ বা হতাশ হন নাই। তিনি হতশ্রদ্ধ হইয়া কখন কোন কাৰ্য্য করিতেন না। কখন আরব্ধ কাৰ্য্য অসম্পূর্ণ রাখিতেন না। যে কাৰ্য্যে যে পরিমাণ সময় ७ भन्नाযোগ দেওয়া আবশ্যক তিনি কখন তদ্বিষয়ে ঔদাসীন্য করিতেন না। এইরূপ অসাধারণ অধ্যবসায় বলেই তিনি এতাদৃশী বিস্তুপরম্পরা অতিক্রম করিয়া দশ বৎসরে তাহার সুপ্রসিদ্ধ “ভারতবষের ইতিহাস” নামক গ্রন্থের কল্পনা, আরম্ভ ও সমাপনে কৃতকাৰ্য্য হইলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে এরূপ অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজ সন্তান সন্ততিগণকে স্বয়ং শিক্ষা দিতেন । প্রত্যেক দিবসের অধিক সময় তাহার এই কার্য্যে পৰ্য্যবসিত হইত। বিশেষতঃ যেরূপ পরিশ্রম যত্ন ও অধ্যবসায়ের সহিত তিনি জ্যেষ্ঠ পুত্র জনুষ্ঠুয়াট মিলের উচ্চশিক্ষা বিধান করিয়াছিলেন এরূপ পরিশ্রম, যত্ন ও অধ্যবসায় আর কোন ব্যক্তির শিক্ষার জন্য কখন ব্যয়িত হইয়াছে কি না সন্দেহ। জেমস বৃথা সময় নষ্ট করা অধৰ্ম্ম বলিয়া জানিতেন। তিনি যে কেবল স্বয়ং সেই ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করিয়া ক্ষান্ত থাকিতেন এরূপ নহে— জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ জনকেও তিনি সেই ধৰ্ম্মে ও তদনুষ্ঠানে দীক্ষিত করিয়াছিলেন। তিনি, তিন বৎসর বয়সে জনকে গ্ৰীক ভাষা শিথাইতে আরম্ভ করেন। সহজে কণ্ঠস্থ হইবে বলিয়া তিনি স্বহস্তে পুত্রের জন্য ইংরাজী প্রতিশব্দের সহিত'প্রচলিত গ্রীক শব্দ গুলির একটা তালিকা লিখিয়া দিয়ছিলেন। তিনি পুত্রকে গ্রীক ব্যাকরণের শব্দ ও ধাতুর রূপ করিতে শিখাইয়াই একবারে গ্রীক ভাষায় অনুবাদে প্রবর্তিত করিয়াছিলেন। পুত্র পিতৃত্বে তৃতীয় রৎসর বয়সে ইসফুলিখিত কথামাল আরম্ভ محمد سنگر گفته