জন্য তিনি পুত্রকে সতত কবিতা-রচনায় প্রবর্তিত করিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ পুত্র স্বাভাবিক কবিত্বশক্তি-সম্পন্ন ছিলেন না। .এই ਖੋਜ পিতার উত্তেজনা তাহার পক্ষে কেবল ক্লেশকর হইয়া উঠিত। এবং তদ্রচিত কষ্টকম্পিত কবিতা কেবল ছন্দোময়ী রচনায় পরিণত হইত মাত্র । পিতার উত্তেজনার আর একটী কারণ এই, তিনি জানিতেন অনেক বিষয় গদ্য অপেক্ষ পদ্যে লিখিলে অধিকতর হৃদয়গ্রাহী হয় । লেখকের মত সৰ্ব্ব-প্রচারি করিতে হইলে ,পদ্যই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উপায়। কিন্তু পিতার সেই সমস্ত আশাই বিফল হইল—পুত্র কিছুতেই সুকবি ছুইতে পারিলেন না। পিতা পুত্রের হস্তে হোমর, হোরেস, সেক্সপিয়র, মিলটন টম্সন, পোপ, গোল ডস্মিথ, বরন, গ্রে, কাউপার, বিয়েটা স্পেন সার, স্কটু, ড্রাইডেন, প্রভৃতি বিখ্যাতনামা কবিদিগের গ্রন্থ সকল প্রদান করিলেন । পুত্র সকল গুলিই পড়িতেন, কোন কোন খানির রস গ্রহণও করিলেন, কোন কোন খানির অনুকরণে কবিতা লিখিতে ও চেষ্টা কবিলেন । কিন্তু তাহার ছন্দোময়ী রচনা কিছুতেই কবিতা হইল না। হইবেই বা কেন ? অনুকরণে কবি হইলে এতদিন জগৎ कदिभग्न छ्झेब्रां ऊँठेिऊ ! - শৈশবের এই সময়ে পরীক্ষাবিষয়ক বিজ্ঞান (১) তাহার আর একটা প্রমোদস্থল ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তিনি এরূপ দুরূহ বিজ্ঞানশাস্ত্রের আলোচনা পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে করিতে পারেন নাই । তিনি কেবল পুস্তকে সেই সকল বিষয় পাঠ করিতেন মাত্র। কিন্তু কখন পরীক্ষা দ্বার সেই সকল প্রতিপন্ন করিয়া লন নাই। জয়েস লিখি ত “ বৈজ্ঞানিক আলোচনা ” এবং পিতৃবন্ধু ডাক্তার টমসন লিখিত “ রাসায়নিক গ্রন্থ ” এই দুই খানিই বিশেষ রূপে তাহার হৃদয়াকর্ষণ, করিয়াছিল ১ এই স্থানেই তাহার শৈশব-শিক্ষা সমাপ্ত হইল । তিনি দ্বাদশবর্ষ অতিক্রম করিয়া এক্ষণে শৈশব হইতে বাল্যে পদার্পণ করিলেন । এবং বয়সের আধিক্যের সহিত পাঠনার বিষয় সকলও উচ্চতর হইতে লাগিল। চিন্তাশক্তির সাহায্য ও বিনিয়োজন, এক্ষণে আর পাঠ্য বিষয় সকলের
- --
(1). Experimental science
