পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেশব ও তাৎকালক শিক্ষা । > > শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। এই জন্য তিনি তরুণ-বয়স্ক ছাত্র মাত্রকেই সেই সুবিখ্যাত গ্রন্থকারের গ্রন্থাবলী পাঠ করিতে অনুরোধ করিতেন । এবং এই জন্যই তিনি পুত্রকেও সেই সকল গ্রন্থে বিশেষ রূপে দীক্ষিত করেন। পুত্রও পিতার ন্যায় সেই সকল গ্রন্থে বিশেষ অনুরক্ত হইয়। উঠিলেন । , এই সময়ে মিল এক বিষম বিপদে পড়িয়াছিলেন। যৎকালে তিনি প্লেটাে ও ডিমস থিনিস, অধ্যয়ন করেন, সেই সময় তাহার ধীশক্তি অধিকতর পরিণত হওয়ায় পিতা তাঁহাকে আর পূৰ্ব্বের মত প্রত্যেক বাক্যের অর্থ বুঝাইয়া দিতে বাধ্য করিতেন না । বুঝিবার ভার পুত্রের নিজের উপর নির্ভর করিয়া, এক্ষণে তিনি উচ্চারণ লইয়া বিশেষ পীড়াপীড়ি আরম্ভ করিলেন। তিনি পুত্রকে সকল পুস্তক স্পষ্টরূপে ও উচ্চেঃস্বরে পড়িতে বলিতেন মিল চেষ্টা করিতেন, কিন্তু কিছুতেই ইচ্ছামত পড়িতে পারিতেন না। পিতা অতিশয় ক্রুদ্ধ হইতেন । এই ঘটনা মিলের অতিশয় ক্লেশের কারণ হইয়া উঠিয়াছিল। মিল, স্বয়ং বলিয়াছেন যে পিতৃদেবলিখিত ভারতবর্ষের ইতিহাসই তাহার সুশিক্ষার প্রধান উপকরণ হইয়াছিল। এই গ্রন্থ ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয় । হিন্দুদিগের আচার ব্যবহার ও রীতি নীতি সভ্যতা ও সমাজপদ্ধতি এবং ইংরাজদিগের ভারতবর্ষীয় শাসনপ্রণালী বিষয়ে এই গ্রন্থের উৎকৃষ্ট সমালোচন মিলের চিন্তু শক্তিকে অনেক পরিমাণে উত্তেজিত করিয়াছিল। বাল্যকালেই ভারতবর্ষ বিষয়ে দীক্ষিত হওয়ায় মিল, পরিণত বয়সে ভারতবাসীদিগের পরমহিতৈষী বান্ধব হইয়। উঠিয়াছিলেন। জেমস মিল, এই গ্রন্থে ডাইরেক টরদিগের শাসন প্রণালীর উপর ভীষণ আক্রমণ করেন। সুতরাং তাহাদিগের নিকট কখন কোন উপকার প্রত্যাশা করেন নাই। তথাপি ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ভারতবর্ষীয় করেসপন ড়েন্স বিভাগের সহকারী পরীক্ষকের পদ শূন্য হইলে—তিনি তৎপ্রার্থী হইয়া আবেদন করেন। ডিরেক্টরেরাও তাহার এই আবেদন গ্রাহ্য করিয়া, এবং অচিরকাল মধ্যেই তাঁহাকে পরীক্ষকের পদে উন্নীত করিয়া, আপনাদিগের উদারতা-গু}র পরিচয়