পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মসের ভাব আমি অবিকল ব্যক্ত করিলাম। কিন্তু মহারা আমার শৈশবে দেখিয়াছিলেন, তাহাদিগের আমার প্রতি বিশ্বাস অন্যরূপ । আমার প্রতি তাহাদিগের এই বিশ্বাস যে আমার আত্মগরিমা জুতিশয় ও অসহ্য । বোধ হয় 'আমি শৈশব হইতেই অত্যন্ত তার্কিক ছিলাম এবং আমার নিকট অযৌক্তিক কথা বলিলেই তাহার প্রতিবাদ করিতাম—এই জন্যই আমার। প্রতি তাহাদিগের এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাস জন্মিয়াছিল । পিতা ও র্তাহার সমবয়স্ক ব্যক্তিগণ আমার শৈশবেও অনেক গুরুতর বিষয়ে আমার সুহিত তর্ক বিতর্ক করিতেন। এই জনাই আমার এরূপ কুঅভ্যাস জন্মিয়াছিল । এবং এই জন্যই আমি বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদিগের সহিত সম্মান- রাখিয়া কথোপকথন করিতে শিখি নাই । দুঃখের বিষয় পিতা আমার এই কুঅভ্যাস ও দুৰ্ব্বিণীততার সংশোধন করিতে চেষ্টা করেন নাই। বোধ হয় তিনি ইহা অবগত ছিলেন না । কারণ আমি তাঁহাকে অতিশয় ভয় করিতাম, এই জন্য র্তাহার সম্মুখে অতিশয় শাস্ত ও বিনীত ভাব ধারণ করিতাম। সুতরাং তিনি আমার অনধিকার-চচর্ণ ও দুৰ্ব্বিণীততার বিষয় কিছুই জানিতে পারিতেন না। যাহা হউক যদিও আমি বয়োজ্যেষ্ঠদিগের সহিত অবালাহ বাক্-বিতণ্ডায় প্রশ্রয়ান্বিত হইয়াছিলাম, তথাপি আমার শুভাদৃষ্ট-বশতঃ আত্মোৎকৰ্ষ-বিষয়ক জ্ঞান কখনই আমার মনকে অধিকার করিতে পারে নাই। চতুর্দশ বৎসর বয়সে, দেশভ্রমণার্থ দীর্ঘকালের জন্য পিতৃ-গৃহ পরিত্যাগ করিয়া যাইবার পূর্ব দিন সন্ধ্যাকালে হাইড, পার্ক উদ্যানে ভ্রমণ করিতে করিতে পিতা আমায় যে কয়েকট কথা বলিয়াছিলেন, তাহা আমার হৃদয়ে অদ্যপি গ্রথিত রহিয়াছে। তিনি বলিলেন—তুমি দেশ-ভ্রমণে বহির্গত হইয়া অনেক न्डने দেশ ও অনেক নূতন জাতি অবলোকন করিবে। দেখিবে —সেই সেই দেশের ও সেই সেই জাতির, তোমার সমবয়স্ক যুবকের জ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ে তোমা অপেক্ষা অনেক হীন । সুতরাং অনেকেই তোমার এই অসাধারণ উৎকর্ষের বিষয় তোমার কর্ণগোচর করিবে এবং তোমার অতিশয় প্রশংসাবাদ করিবে। সাবধান যেন সেই সকল কথায়” ও প্রশংসাবাদে তোমার হৃদয় আত্মাভিমানে পরিপূর্ণ নহয়।সেই সেই